ঢাকা: রাজধানীর দক্ষিণখানের পূর্ব আশকোনা থেকে জব্দ করা তিনটি আগ্নেয়াস্ত্রের সঙ্গে অতীতে জঙ্গি আস্তানা থেকে পাওয়া অস্ত্রের মিল পেয়েছে পুলিশ।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা প্রাথমিকভাবে বিষয়টি নিশ্চিত হলেও এগুলো কোথায় থেকে আমদানি করা হচ্ছে তা এখনও জানা সম্ভব হয়নি।
আশকোনার জঙ্গি আস্তানা থেকে জব্দ করা ৭.৬৫ এমএম পিস্তলের গায়ে ইংরেজিতে ‘মেড ইন ইউএসএ’, আরেকটি ৯ এমএম পিস্তলের বাটে ইংরেজিতে ‘সানমি ইনডাস্টার’ এবং পিস্তেলের ব্যারেলে খোদাই করে ‘জাপান’ লেখা রয়েছে। অন্য একটি ৯ এমএম পিস্তলের ব্যারেলের গায়ে খোদাই করে ‘মেড ইন ইউএসএ’ লেখা রয়েছে।
পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট সূত্র জানায়, গুলশান হামলা থেকে শুরু করে বিভিন্ন জঙ্গি আস্তানায় পুলিশি অভিযানে জব্দ অস্ত্রগুলোর সঙ্গে এই অস্ত্রগুলোর মিল পাওয়া গেছে। প্রতিবেশী কোনো দেশ থেকে অস্ত্রগুলো আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এছাড়া ১৪ রাউন্ড গুলি, ৪টি ম্যাগজিন, ১৯টি গ্রেনেড, ১টি ধারালো ছুরিও জব্দ করা হয়।
হলি আর্টিসানে হামলায় ব্যবহৃত ৫টি ৯ এমএম পিস্তল, ৩টি একে-২২ রাইফেল জব্দ করা হয়। পরবর্তিতে কল্যাণপুর জঙ্গি আস্তানা থেকে ৪টি পিস্তল, নারায়ণগঞ্জ জঙ্গি আস্তানা থেকে একটি একে-২২ রাইফেল, ৭.৬৫ বোরের একটি কাঠের বাঁটযুক্ত পিস্তল (মেড ইন ইউএসএ) জব্দ করা হয়। আজিমপুর জঙ্গি আস্তানা থেকে ‘মেড ইন জাপান’ লেখা একটি ও ‘মেড ইন ইতালি’ লেখা দু’টি পিস্তল জব্দ করা হয়।
এ বিষয়ে সিটিটিসি’র উপ-কমিশনার মহিবুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আশকোনার জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের ঘটনায় দায়ের করা মামলাটি আমাদের প্রাথমিক তদন্তে রয়েছে। অস্ত্রগুলো কোথা থেকে আনা হয়েছে এ বিষয়ে আরো তদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।
আত্মসমর্পণ করা দুই নারী জঙ্গিকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেও অনেক তথ্য সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে, যোগ করেন মহিবুল।
দক্ষিণখানে অভিযানের পর গত রোববার (২৫ ডিসেম্বর) ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, জঙ্গিদের এসব অস্ত্র-বিস্ফোরক বাইরের দেশ থেকেও আনা হতে পারে, আবার দেশের ভেতর থেকেও সরবরাহ করা হতে পারে। বিষয়টি অনুসন্ধান করে দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৬
পিএম/এটি