আশুলিয়া (সাভার): বিজিএমই’র নির্দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হওয়া কারখানা খুলে দেওয়ার দ্বিতীয়ে দিনে কাজে যোগ দিয়েছেন শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকে শ্রমিকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কারখানায় কাজ শুরু করে।
শ্রমিকদের নিরাপত্তা দিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কারখানার সামনে ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান নিয়েছে। রাখা হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে। ৠাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ আবদুল্লাহপুর বাইপাইল মহাসড়কে টহল দিচ্ছে।
এদিকে, সোমবারের (২৬ ডিসেম্বর) তুলনায় মঙ্গলবার শ্রমিকদের উপস্থিতির হার বাড়ার আশা করছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।
আশুলিয়ার বিভিন্ন কারখানায় সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, শ্রমিকরা সকাল থেকে স্বাভাবিক দিনের মতোই কারখানায় কাজে যোগ দিয়েছে। কারখানার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পুলিশ, র্যাব কঠোর অবস্থান নিয়ে আছে।
এছাড়া মাইকিং করে শ্রমিকদের বার বার সতর্ক করা হচ্ছে। যেন তারা কারো প্রলোভনে পা না দেয়।
এজিএম কারখানার রাবেয়া বাংলানিউজকে বলেন, আমরা প্রতিদিনের মতো অফিসে যাচ্ছি কাজ করতে। কিছু দুষ্টু মানুষের জন্য শ্রমিকদের নাম নষ্ট হচ্ছে। তাছাড়া কারখানারও ক্ষতি হচ্ছে, আমরা তাদের শাস্তি দাবি করি।
জিন্নাত নামে আরো এক শ্রমিক বাংলানিউজকে বলেন, কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ চলে গিয়েছিলাম। আজকেই কাজ যোগ দিচ্ছি।
ফাউন্টেন কারখানার জুনিয়র এক্সিকিউটিভ নাজমুল হক বাংলানিউজকে বলেন, আমরা যেমনটা ভেবেছিলাম তার চেয়ে অনেক বেশি শ্রমিক উপস্থিত রয়েছে। আমরা শ্রমিকদের প্রবেশের ক্ষেত্রে বিশেষ নজরদারি রাখছি। যাতে কোনোভাবে দুষ্কৃতিরা কারখানায় প্রবেশ না করতে পারে।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিনুল কাদির বাংলানিউজকে জানান, শ্রমিকদের নিরাপত্তা দিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে রয়েছে। পরিস্থিতি এখন অনেক স্বাভাবিক হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৬
আরবি/পিসি