ঢাকা: জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে মত দিয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশররফ হোসেন বলেছেন, এবার কর্তৃপক্ষকে গ্রামের দিকেও যেতে হবে। গ্রামে জমি পেলে কিস্তিতে পরিশোধের শর্তে বহুতল আবাসন করে দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘খাদ্য নিরাপত্তায় কৃষিজমি রক্ষাকল্পে পরিকল্পিত গ্রাম-নগরায়ন ও গৃহায়ন’ শীর্ষক জাতীয়ভিত্তিক সুপারিশ উপস্থাপনকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন। ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অব বাংলাদেশ (আইডিইবি) সুপারিশমালা উপস্থাপন করে।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে। এই কর্তৃপক্ষ শুধু শহরে থাকলে হবে না, গ্রামের দিকে যেতে হবে। আমিও চাই গ্রামে যাক।
কেন গ্রামে কাজ করতে হবে জানিয়ে ইঞ্জিনিয়ার মোশররফ হোসেন বলেন, এই যে, আমরা চার ভাই, চারটা ফ্ল্যাট দরকার। তাদের জন্য ন্যাশনাল হাউজিং করবে, চার ভাইকে করতে হবে না। যদি তারা আমাদের দেয় (জমি), আমরা করে দেবো। আমরা লং টার্ম তাদের কাছ থেকে টাকা নেবো। উই ক্যান ডু ইট। ন্যাশনাল হাউজিং অথরিটি গরিবের জন্য, সাধারণ মানুষের জন্য। আমরা কিস্তিতে খুব সহজে কাজ করে দিতে পারি।
জমির মাটি কেটে বাড়ি নির্মাণের সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, গৃহ নির্মাণের সামগ্রী শুধু ইট দিয়ে হয় এটা ঠিক না। নদীতে অনেক বালু আছে। ড্রেজিং করে ক্লে নিয়ে ইট তৈরি করতে পারবো। ইউএনও যারা আছেন, তাদের এটা দেখা উচিত এবং পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া উচিত।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমরাও চাচ্ছি, ইউনিয়ন পরিষদের দিকে আসতে। একটা ইউনিয়নে যতোগুলো জায়গা ও লোক আছে যদি ১৬ তলা ভবন করি অনেক লোককে সেখানে নিয়ে আসতে পারবো। ন্যাশনাল হাউজিং অথরিটিকে একটা ইউনিয়ন দেওয়া হোক, আমরা করে দেখাবো। একটা টাকাও ওদেরকে দিতে হবে না। পুকুর পুকুরই থাকবে, মাছ চাষ হবে, শুধু ভিটাবাড়ি চলে যাবে। সব আধুনিক সুযোগ-সুবিধায় তারা একটা ভবন পাবে।
‘আমাকে একটা ইউনিয়ন দেন, আমার ন্যাশনাল হাউজিং অথরিটি করে দেখাক। একটা পয়সাও সরকার থেকে নেবো না,’ যোগ করেন তিনি।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আখতার হোসেন, রাজউকের সদস্য আব্দুর রহমান, আইডিইবি’র সভাপতি এ কে এম এ হামিদ, সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুর রহমান এসময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৬
এমআইএইচ/আইএ