সেদিকে তাকাতেই দেখা গেলো সূর্যের আরেক রূপ। সেও পানিতে ঝিলমিল করে নেচে নেচে যেনো জানান দিচ্ছে বিদায়ী বার্তা।
হাতিরঝিল থেকে সূর্যটাকে মাথায় করে নিয়ে এলাম পূর্বাচলের ইছাপুড়ায়। প্রধান সড়কের ব্রিজের উপর দাঁড়িয়ে চেষ্টা ছিলো বিদায়ী সূর্যটা দেখার। ততক্ষণে ঝিলমিল করা সূর্যটা হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে। ইছাপুড়া গ্রামটির চারপাশে সেই রঙ ছড়িয়ে পড়েছে। সেখান থেকে পশ্চিম দিকে তাকালে দেখা যায়, নারিকেল আর তালপাতার উপরে সূর্যটা দাঁড়িয়ে।
একটু সামনের দিকে এগিয়ে বারিধারা ৩শ’ ফিট এলাকা। সেখানে বেড়াতে আসেন প্রকৃতিপ্রেমীরা। কেউ কেউ প্রিয়জনকে সঙ্গে নিয়েই বছরের সূর্য দেখছেন।
ক’বন্ধু একসঙ্গে এসেছে সেখানে। ওদের এক বন্ধু আরেক বন্ধুকে উদ্দেশ্য করে বলছে, ‘এই দেখ দেখ! কী সুন্দর সূর্য’।
তাকিয়ে জাবাব দিলো ‘সত্যি। অসাধারণ লাগছে সূর্যটা’।
নাম মাসুদ। বললেন, আজ বছরের শেষ সূর্যটা ডুবে যাচ্ছে। আগামীকাল যে সূর্য উঠতে যাচ্ছে, তার আলোয় আলোকিত হোক বাংলাদেশ’।
সারাদিনের অক্লান্ত পরিশ্রম শেষে কাঁধে কোদাল নিয়ে ঘরে ফিরছিলেন আলম মিয়া। বছরের শেষ সূর্যের দিকে একবার, আরেকবার প্রতিবেদকের দিকে তাকিয়ে একগাল হেসে বললেন, ‘ভালাই হইবো। কাইলকের সূর্যডা মনে ওয় আরো ভালা হইবো’।
এর আগে ৩৬৫ বার সূর্য উঠে ফের ডুবে গেছে। আজকের সূর্য বিশেষ।
কেটে গেলো আরো ১৫ মিনিট। ঘড়িতে সময় ৫টা ১৪ মিনিট। মলিন হতে শুরু করেছে সূর্য। ডিমের কুসুমের মতো গোলাকার সূর্যটা দেখে মনে হতে পারে কপাল জুড়ে লালটিপ দিয়ে সেজেছে বাংলার বধূ।
বাংলাদেশ সময়: ২১২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৬
আরআইএস/এটি