ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দৃশ্যমান হচ্ছে স্বপ্নের সেতুর পিলার

রীনা আকতার তুলি, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৬
দৃশ্যমান হচ্ছে স্বপ্নের সেতুর পিলার দৃশ্যমান হচ্ছে স্বপ্নের সেতুর পিলার। ছবি: দীপু মালাকার-বাংলানিউজ

পদ্মা সেতু প্রকল্প ঘুরে: ইংরেজি ‘ভি’ উল্টো করে দেখলে যেমন দেখায় ঠিক তেমন আকৃতিতেই নির্মাণ করা হচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ পদ্মা সেতুর পিলার। জাজিরা শিবচর নাওডোবা থেকে শুরু করে নদীর ভেতরে সারিবদ্ধভাবে মাওয়ার দিকে মোট ৮টি পিলারের কাজ চলছে। পুরো প্রকল্পের জন্য এ রকম পিলার তৈরি করা হবে মোট ৪২টি।

তিন মিটার পরিধির একেকটি পাইল ১২২ মিটার পদ্মার তলদেশে গিয়ে থামছে। ছয়টি পাইল ঘিরে দাঁড়িয়ে যাবে একটি পিলার।

যে পিলারের উপর স্প্যান বসালেই হয়ে যাবে সেতু। এখন পিলার গড়ে তোলার জন্য চলছে মাটি উত্তোলনের কাজ।

সেতু প্রকল্পে নিয়োজিত সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার হুমায়ুন কবির বলেন, অনেক চড়াই-উৎরাইয়ের পর দ্রুত গতিতেই এগিয়ে যাচ্ছে কোটি মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতুর কাজ।

দৃশ্যমান হচ্ছে স্বপ্নের সেতুর পিলারসরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীত উপেক্ষা করেই সেতুর কাজ করছে শ্রমিকেরা। পিলারের কাজে দায়িত্বরত শ্রমিক শফিক, শাওন ও মিজান বাংলানিউজকে বলেন, সেতুর কাজ অনেক দ্রুত গতিতে করা হচ্ছে। কাজ দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমরা দৈনিক কর্মঘণ্টার বাইরে ওভারটাইম করছি।

আরো বলেন, তারা প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা কাজ করে। এছাড়া ছুটিও খুব একটা পাওয়া যায় না। তারাও আশা রাখছে দ্রুতশেষ হবে পদ্মা সেতুর কাজ।

পদ্মার সেতুর কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির বাংলানিউজকে বলেন, পদ্মা সেতুর কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। কাজ দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার জন্য শ্রমিকদের দিয়ে ওভারটাইম করানো হচ্ছে। ছয় কিলোমিটার প্রশস্ত পদ্মা সেতু শুধু সড়ক সেতু নয়, নির্মাণ হবে রেলপথও।

দৃশ্যমান হচ্ছে স্বপ্নের সেতুর পিলারতিনি আরো জানান, পদ্মার পাড়েই তৈরি হচ্ছে এসব পাইল। চীন থেকে নিয়ে আসা স্টিল প্লেট দিয়ে ফ্রেব্রিকেশন ইয়ার্ডে(কারখানা) পাইল তৈরি কাজ করা হচ্ছে। পাইলিংয়ের কাজই হচ্ছে সেতুর সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং কাজ। পাইলিংয়ের কাজ শেষ হলেই পিলারের উপর শুধু স্প্যান বসিয়ে দিলে শুরু করবে গাড়ি চলাচল।


‍তিনি বলেন, ৪২টি পিলারে ১৫০ মিটারের ৪১টি স্প্যান বসানো হবে। মাওয়া থেকে জাজিরায় চারলেন সেতু গিয়ে নামবে ছয়লেন সড়কে। এছাড়া এই ছয়লেনের কাজও প্রায় সমাপ্তির দিকে। এজন্য কাওড়াকান্দি ফেরিঘাট কাঁঠালবাড়ি ঘাটে সরিয়ে এনে খুলনা সড়কে যোগাযোগের জন্য নবনির্মিত ৮ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক খুলে দেয়ার প্রস্তুতিও শেষ পর্যায়ে।

২০১১ সালের ৪ জুলাই সেতু প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর দেশের দক্ষিণ জনপদকে সড়কপথে সরাসরি রাজধানীর সঙ্গে যুক্ত করতে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে প্রকল্পের মূল সেতুর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৬
আরএটি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।