শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন। তার প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
শোক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশ যখন উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে তখন একটি মহল দেশে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করে স্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে, হত্যা ও সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে, যা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। ”
“তাদের হত্যার রাজনীতির পথ ধরেই তারা নির্বাচিত সংসদ সদস্য (এমপি) মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে হত্যা করেছে। এছাড়া আজ খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জেড এ মাহমুদকে হত্যার জন্য গুলি করা হয়েছে। এ সময় গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে একজন পথচারী নিহত হন। ”
প্রধানমন্ত্রী অবিলম্বে খুনিদের খুঁজে বের করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন এবং স্থানীয় জনগণকে ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানান।
শোক বিবৃতিতে লিটনের শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাতও কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
সন্ধ্যা ৬টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে শাহবাজ এলাকায় নিজ বাড়িতে আততায়ীর গুলিতে আহত হন লিটন। পরে তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. বিমল কুমার লিটনকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৬/আপডেট ২৩২২ ঘণ্টা
এমইউএম/জিপি/এইচএ