ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০১৭
দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা বিতর্ক প্রতিযোগিতার গ্রান্ড ফাইনালে প্রতিযোগী ও অতিথিরা। ছবি: জি এম মুজিবুর

ঢাকা: যেকোনো দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা বলে জানিয়েছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি’র) নির্বাহী পরিচালক ড.ইফতেখারুজ্জামান।

শনিবার (০৭ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর তেঁজগাও’র এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র আয়োজনে ‘রাজনৈতিক সদিচ্ছা নাকি জনসচেতনতা কোনটি 
দুর্নীতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে’ শীর্ষক বিতর্ক প্রতিযোগিতার গ্রান্ড ফাইনালে তিনি এ কথা বলেন।

বিতর্ক প্রতিযোগিতার সহযোগিতায় ছিলো ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি)।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দুর্নীতি একটি ‘মহামারী রোগ’। এটি প্রতিরোধ করতে একদিকে যেমন প্রয়োজন জনসচেতনতা অন্যদিকে প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা। কেননা সংসদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যদি দুর্নীতি প্রতিরোধে কাজ না করেন তাহলে কোনোভাবেই দুর্নীতি প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। কারণ জনগণের ভোটে নির্বাচিত রাজনৈতিক প্রতিনিধিরাই পারেন একটি সুন্দর সমাজ গড়তে। জনগণ তাদের পছন্দ করেন বিধায় তারা রাজনৈতিক নেতাকে নির্বাচিত করে থাকেন। তাই দুর্নীতি প্রতিরোধে রাজনৈতিক কর্মীদের ভূমিকায় মুখ্য।

তিনি আরও বলেন, প্রত্যেক দুর্নীতিকারীকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ছোট-বড় বলতে কোনো দুর্নীতি নেই। এই জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) আরও কঠোর হতে হবে। প্রত্যেকটি মামলার অনুসন্ধান সঠিকভাবে করতে হবে। কেননা দুদক একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। এখানে দুর্নীতিবাজদের কোনো স্থান নেই।

দুদক কমিশনার এএফএম আমিনুল ইসলাম বলেন, গত বছরের ১৪ মার্চ যখন কমিশন দায়িত্ব গ্রহণ করে তখন দুদকের সাজার হার ছিলো ৩০ শতাংশ। যা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯ শতাংশ। তবে, শুধু দুদকের একার কাজ নয় দুর্নীতি প্রতিরোধ করা। এখানে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। মনে রাখতে হবে, দুর্নীতি সমাজকে ধ্বংস করে দেয়।

বিতর্ক প্রতিযোগিতার গ্রান্ড ফাইনালের বিচারকরা।  ছবি: জি এম মুজিবুরদুদক সচিব আবু মো. মোস্তফা কামাল বলেন, দুর্নীতি যারা করে তাদের চেয়ে যারা দুর্নীতি করে না তারাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তরুণ শিক্ষার্থীরা। এজন্য আমাদের তরুণ প্রজন্মকে দুর্নীতিমুক্ত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আমরা যদি দুর্নীতিমুক্ত দেশ দিতে পারি, তাহলে আজকের তরুণরাই আগামীর সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।  

বিতর্ক প্রতিযোগিতার গ্রান্ড ফাইনালে আরও বক্তব্য রাখেন- ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংকের চেয়ারম্যান এম. এ. সবুর, ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৬
এসজে/পিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।