শনিবার (০৭ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে সন্ত্রাসবাদের ওপর এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘গুলশান হামলার তদন্তে অবশ্যই অগ্রগতি হয়েছে।
আইজিপি বলেন, ‘যে দুইজন জঙ্গি নিহত হয়েছে তার মধ্যে একজন দুর্ধর্ষ জঙ্গি ছিল। গুলশান হামলায় যে ক’জন মাস্টারমাইন্ড ছিল তার মধ্যে মারজান অন্যতম। ঢাকাসহ নর্থ বেঙ্গলে যতগুলো অপারেশন হয়েছে সবগুলোর কমান্ডার ছিল সে। কাজেই আমরা তাকে খুঁজছিলাম। পরশুদিন আমরা জানতে পারলাম, সে ঢাকায় প্রবেশ করবে। সেখানে বন্দুকযুদ্ধে দু’জন মারা গেছে।
জঙ্গিদের পুনর্বাসন করার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, তারা হচ্ছে হাইলি মটিভেটেড জঙ্গি। তারা সহজে বিচ্ছিন্নতাবাদ থেকে ফিরে আসে না। তারা যখন যেখানে যায় চার-পাঁচজন অনুসারী তৈরি করতে পারে। তাদের জন্য পুনর্বাসন সেন্টার দরকার। সেটি কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে থাকতে পারে কিংবা সরকার অন্যভাবে চিন্তা করতে পারে। এর মাধ্যমে যারা জঙ্গি হয়ে গেছে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা যাবে বলে মনে করেন তিনি।
এর আগে, আইজিপি ২ দিনব্যাপী ‘টেরোরিজম ইন দ্যা ওয়েব অব ইসলামিক স্টেট’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
এ সম্মেলনের আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নেদারল্যান্ডস-এর রাষ্ট্রদূত লিওনি মার্গারিটা কুলোনার।
সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ক্রিমিনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৭
এসকেবি/পিসি