শনিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার কুয়াকাটা রাখাইন মার্কেট মাঠে ১২ সদস্য নিয়ে দস্যু নোয়া বাহিনীর আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি এসময় বলেন, র্যাবের তৎপরতার কারণে জেলেরা আজ নিরাপদে মাছ ধরতে পারছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ছে, দারিদ্রতা কমে গেছে। এখন গ্রামে গেলে মানুষ লেবুর সরবত খেতে দেয় না, কোমল পানীয় দেয়। দেশের এ উন্নয়নের অগ্রযাত্রার পথে সব বাধা দূর করা হবে, যোগ করেন র্যাবের মহাপরিচালক।
তিনি আরও বলেন, কোনো দস্যুকে দক্ষিণাঞ্চলে তথা সুন্দরবন ও বঙ্গোপসাগরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে দেওয়া হবে না। এ পর্যন্ত র্যাবের সফল অভিযানে ৬৭৪টি অস্ত্র, ১৯ হাজার ৫৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধারসহ ২৩৮ জন দস্যুকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। বহু দস্যু নিহতও হয়েছেন।
আমাদের জানা মতে, সুন্দরবনের পূর্বাঞ্চলে দু’টি ও পশ্চিমাঞ্চলে ছয়টি দস্যু বাহিনী এখনো তাদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা এ বাহিনীগুলোর প্রতি আহ্বান জানাবো তারাও যেনো আমাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন, কোনো বাহিনী র্যাবের নজরদারির বাইরে নেই। নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ না হয়ে র্যাবের মুখোমুখী হলে এর ফল ভালো হবে না।
তিনি বলেন, যাদের বিরুদ্ধে হত্যা-ধর্ষণের অভিযোগ নেই তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আনা সহজ হবে। এসব মানুষকে সমাজের মূল ধারায় ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাও রয়েছে। এরই মধ্যে আত্মসমর্পণকারীদের ভাগ্যন্নোয়নে আমরা একটি প্রকল্পও দাখিল করেছি।
বিগত সময়ে আত্মসমর্পণকারী যারা বর্তমানে জামিনে রয়েছেন তারা যেনো নিজ এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এসব আত্মসমর্পণকারীদের সমাজের মূল ধারায় ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব সবার।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৭
এমএস/আরবি/এটি/এসআই/