রোববার (০৮ জানুয়ারি) বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আগামী ২৫ জানুয়ারি আদালাতে হাজির হয়ে যশোর সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক নাজমুল হাসান ও উপপরিদর্শক হাদিবুর রহমানকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
একই দিন নির্যাতনের শিকার যুবককেও উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও এঘটনার বিষয়ে যশোরের এসপিকে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ বিষয়ে সচিত্র খবর প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদনটি নজরে নিয়ে আদালত এই আদেশ দেন।
গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ‘যশোরে আবু সাঈদ (৩২) নামে এক যুবককে থানায় এনে ঝুলিয়ে ও পিটিয়ে ঘুষ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। পরে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে তিনি ছাড়া পেয়েছেন। তবে সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসার নির্যাতন ও ঘুষ আদায়ের কথা অস্বীকার করেছেন। ’
‘সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, যশোর সদর উপজেলার তালবাড়িয়া গ্রামের মাদক বিক্রেতা নুরুল হকের ছেলে আবু সাঈদকে বুধবার (০৪ জানুয়ারি) রাতে আটক করেন কোতোয়ালি থানার সিভিল টিমের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হোসেন ও সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) হাদিবুর রহমান। ’
‘পরে থানায় এনে তার কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করেন ওই দুই অফিসার। ঘুষ দিতে অস্বীকার করায় আবু সাঈদকে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে থানার মধ্যে দুই টেবিলের মাঝে বাঁশ দিয়ে উল্টো করে ঝুলিয়ে বেদম পেটানো হয়। পরে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে ওই রাতেই তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। ’
‘যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হোসেনের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। তবে অপর অভিযুক্ত এএসআই হাদিবুর রহমান বলেন, ‘এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। ’
‘যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস হোসেন বলেন, এমন কোনো ঘটনার কথা আমার জানা নেই। এখনো কেউ অভিযোগও করেনি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৭
ইএস/বিএস