ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাসায় সিসি ক্যামেরা চান এমপিরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০১৭
বাসায় সিসি ক্যামেরা চান এমপিরা

ঢাকা: সম্প্রতি গাইবান্ধা-১ আসনের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের হত্যাকাণ্ড নিয়ে শঙ্কিত অন্যান্য সংসদ সদস্যরা। এজন্য প্রত্যেক এমপির বাসায় সিসি ক্যামেরা বসানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
 
 

রোববার (০৮ জানুয়ারি) বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র বৈঠকে এ প্রস্তাব আনা হয়।
 
সভাপতি মো. দবিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সাধন চন্দ্র মজুমদার, এ কে এম ফজলুল হক, আবু সালেহ মোহাম্মদ সাঈদ (দুলাল), নূর-ই-হাসনা লিলি চৌধুরী এবং নূরজাহান বেগম বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।


 
সভাপতি বাংলানিউজকে বলেন, স্বাধীনতা পরাজিত শক্তিরা হামলা করছে। এ অবস্থায় আমাদের সর্তক থাকা দরকার। তাই আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে বলেছি প্রত্যেক সংসদ সদস্যের বাসায় প্রতি ফ্ল্যাটে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হোক।
 
এছাড়া মানিক মিয়া এভিনিউর পাশে অবস্থিত ন্যাম ভবন থেকে সংসদে যাতায়াতের জন্য টানেল, গাড়ি চালকদের বসার ছাউনি, গাড়ি পার্কিংয়ের স্থানসহ  শোভাবর্ধনমূলক স্থাপনা নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন করবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন।
 
সভাপতি বলেন, সৌন্দর্য পরে আগে বাঁচতে হবে তো। তারপর অন্যসব কাজ করা যাবে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রত্যেক সংসদ সদস্যের বাসায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হলে কে কখন, কোথা থেকে আসলো জানা যাবে। আগে সবার নিরাপত্তা তারপর অন্যকাজ।

এদিকে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকার আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর উচ্ছেদ কার্যক্রম অব্যাহত রাখার বিষয়ে সুপারিশ করে।
 
এছাড়াও জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সব প্রকল্পের প্লট/ফ্লাট বরাদ্দের জন্য একটি যুগোপযোগী বরাদ্দ নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করা হয়। একইসঙ্গে স্থান এলাকা ভেদে বরাদ্দ নীতিমালা পরিবর্তন করা হলেও ক্যাটাগরি ও কোটার হার অপরিবর্তীত রাখারও সুপারিশ করা হয়।
 
কমিটি বাংলাদেশের ভূমির গঠন, ভূমিকম্প প্রবণতা, পরিবেশ ও জনসংখ্যা বিবেচনায় নিয়ে রাজউক ও জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন নির্মাণ পদ্ধতি অনুসরণ করার সুপারিশ করে।
 
সরকারি প্রকল্প এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত জমি মালিকদের প্রথমেই পুর্নবাসন করার প্রস্তাব করা হয়। এছাড়া ভবিষ্যতে প্লট বরাদ্দের পরিবর্তে ফ্লাট বরাদ্দের প্রকল্প গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
 
বৈঠকে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উদ্দিন খন্দকারসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৭
এসএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।