ফজলে রাব্বী বলেন, অভিবাসন নিয়ে পার্লামেন্টারি কোকাস প্রতিষ্ঠা খুবই প্রয়োজন। এ বিষয়ে ৯ সদস্যের ককাস প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করছি।
তিনি বলেন, বায়রা অভিবাসন ব্যয় বৃদ্ধির দায় এড়াতে পারে না। বায়রার ওপর সুপারভিশন করার ক্ষমতা পার্লামেন্টারি ককাসের হাতে থাকতে হবে বলেও অভিমত দেন ফজলে রাব্বী।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের এ বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করার কথা বলে সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলমকে সভাপতি করে ৯ সদস্যের এ পার্লামেন্টারি ককাস প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দেন ডেপুটি স্পিকার।
আলোচনা অনুষ্ঠানের সভাপতি সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলম বলেন, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বৈদেশিক কর্মসংস্থান ওতপ্রোতভাবে জড়িত। শেখ হাসিনার সরকার বিদেশে কর্মী পাঠাতে যে সব পদক্ষেপ নিয়েছে তা বিশ্বে সমাদৃত হয়েছে। বিদেশে কর্মী পাঠানোর বিষয়ে ১৯৮২ সালে করা মাত্র একটি অর্ডিন্যান্স দিয়েই কাজ চলত ২০১৩ সাল পর্যন্ত। তারপর ২০১৩ সালে বেশ কয়েকটি আইন ও নীতিমালা তৈরি করা হয়। বৈদেশিক কর্মীরা দেশের জিডিপির ১৪ শতাংশে অবদান রাখছে। তাদের স্বার্থ দেখা আমাদের দায়িত্ব।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানের অতিরিক্ত সচিব মো. জাবেদ আহমেদ বলেন, ৪৭ জন সংসদ সদস্যকে এ আলোচনায় অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু দেশব্যাপী উন্নয়ন মেলার জন্য অধিকাংশই সংসদ সদস্য আসেননি বলে জানান তিনি।
বিএমইটি এর মহাপরিচালক মো. সেলিম রেজা বলেন, কোন মহিলা কর্মীর বিদেশে যেতে এক পয়সা লাগে না। কোন মহিলা কর্মীকে প্রশিক্ষণ ছাড়া বিদেশে পাঠানো হয় না।
বিএমইটি এর পরিচালক নূরুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে প্রায় ১ কোটির ওপরে বাংলাদেশি ১৬২টি দেশে কাজ করছে। তারা বিদেশ থেকে এ পর্যন্ত পাঠিয়েছেন ১১ লাখ ২৫ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা।
তিনি জানান, ২০১৬ সালে ৭ লাখ ৫৭ হাজার ৭৩১ জন বিদেশে কাজের জন্য গিয়েছেন যা আগের বছরের চেয়ে ৩৪.৪ শতাংশ বেশি। তাছাড়া মোট কর্মীর মধ্যে নারী কর্মী গেছেন ১ লাখ ১৮ হাজার ১৫৮ জন যা আগের বছরের চেয়ে প্রায় ১৪ শতাংশ বেশি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৬
কেজেড/আরআই