সোমবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে সাভারের আমিনবাজার তুরাগ নদীর কেবলারচর এলাকা থেকে লিজার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তিনি একটি এনজিও’র স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে কাজ করতেন।
তার বাবার নাম হযরত আলী। স্বামীর নাম ওমর ফারুক আর শ্বশুরের নাম মজিবুর রহমান। স্বামী-শ্বশুরকে আটক করা হয়েছে বেগুনবাড়ি এলাকা থেকে। পুলিশ ধারণা করছে, গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা করে হাত-পা বেঁধে পানিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, এক বছর আগে লিজার সঙ্গে বিয়ে হয় ফারুকের। কিন্তু কিছুদিন ধরে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে পারিবারিক ঝামেলা চলছিল তার। এই ঝামেলা মেটাতে গত ৪ জানুয়ারি লিজাকে ব্যাংক কলোনি এলাকায় দেবর অপুর বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন লিজা। পালিয়ে যান অপুও।
এরপর সোমবার দুপুরে তুরাগ নদীর কেবলারচর এলাকায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় লিজার মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে পুলিশকে খবর দিলে আমিনবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাছেদ মিয়া এসে মরদেহটি উদ্ধার করেন এবং ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠান।
এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম কামরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, গৃহবধূকে কারা হত্যা করেছে বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের পর বিস্তারিত জানানো হবে।
এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ওসি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৭
এইচএ/