ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

এটা তো এখন বিগ আরবান এরিয়া

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৭
এটা তো এখন বিগ আরবান এরিয়া অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত

বাগেরহাট: ১৯৫৯ সাল, জেলা বাগেরহাটের জন্ম হয়নি তখনও। ভারত-পাকিস্তান ভাগ হয়েছে মাত্র ১২ বছর। বাগেরহাট তখন পূর্ব পাকিস্তানের খুলনা জেলার অন্তর্গত একটি মহকুমা।

বর্তমান শহর বাগেরহাটে তখন ছিলো না কোনো পিচ ঢালা রাস্তা, ছিলো না বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। শহরের মেঠ পথে চলতো গরুর গাড়ি।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বলতে ছিলো একমাত্র বাগেরহাট টাউন স্কুল (বর্তমান বাগেরহাট বহুমুখি কলেজিয়েট স্কুল)। হাট-বাজার, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা এখানকার অন্যান্য অবকাঠামোর কথা তো বোঝাই যায়।

সেই সময়ে বাগেরহাটের মহকুমা তৎকালীন প্রশাসক হিসেবে যোগ দেন আবুল মাল আব্দুল মুহিত। ১৯৫৯-৬০ সালে বাগেরহাটে মহাকুমা প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। সেই আবুল মাল আব্দুল মুহিত এখন বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী।

পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ। স্বাধীন দেশে অগ্রযাত্রা আর সমৃদ্ধির ধারায় বাংলাদেশ এগিয়েছে অনেকটা। উন্নয়নের পথে এগিয়েছে বাগেরহাটও। অর্থমন্ত্রীর মহাকুমা এখন জেলা শহর।

রোববার (১৫ জানুয়ারি) একদিনের সফরে বাগেরহাটে আসেন অর্থমন্ত্রী। সফরকালে বাগেরহাটের রামপালে নির্মাণাধীন তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র, মংলা বন্দর পরিদর্শন শেষে দুপুরে সেই চেনা বাগেরহাটে আসেন। স্বল্প সময়ের জন্য হলেও ছুটে যান প্রিয় প্রাঙ্গণগুলোতে। কোনো বড় অনু্ষ্ঠান বা আয়োজন না থাকলেও স্মৃতির বাগেরহাট নিশ্চয় নস্টালজিক হয়েছেন মন্ত্রী।

মহকুমা প্রশাসক থাকাকালীন আব্দুল মুহিত বাসভবনই এখন বর্তমান জেলা প্রশাসকের বাসভবন। সফরকালে মন্ত্রী ছুটে যান তখনকার সেই বাড়ির আঙিনায়। মুহুর্তের জন্য হয়তো হারিয়ে গেছিলেন স্মৃতির আঙিনায়। পরিদর্শন করেছেন ঐতিহ্যবাহী সরকারি পিসি কলেজ, নাগেরবাড়ি।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের কাছে কোনো প্রশ্ন ছিলো না। শুধু বাগেরহাট নিয়ে তার অভিব্যক্তি জানতে চাইছিলেন সংবাদকর্মীরা।

বর্তমান বাগেরহাট নিয়ে বলতে গিয়ে প্রথমেই স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, বাগেরহাট চাষাবাদে ভালো ছিলো আগে থেকেই। এখানে খুব ভালো মাছ পাওয়া যেত। আজ অনেক দিনপর বাগেরহাটের মাছ খেলাম।

এখানে রয়েছে খানজাহান (রহ.) এর মাজার। তিনি (খানহাজান) একদিকে যেন ছিলেন একজন জেনারেল (শাসক), অন্যদিকে ছিলেন আধ্যাত্মিক ব্যক্তি। তার নির্মিত ষাটগম্বুজ তো ওয়ান ওফ দ্যা ফাইনেস্ট মস্ক (মসজিদ) ইন দ্যা ওর্য়াল্ড। এতো গম্বুজ ওয়ালা সুন্দর মসজিদ আর কোথায় পাওয়া যাবে। “দ্যট’স এ বেটার অফ প্রাউড ফর বাগেরহাট। ”

মন্ত্রী বলেন, বাগেরহাট এগিয়ে যাচ্ছে। এই অঞ্চলে তো এখন বড় বড় প্রজেক্ট হচ্ছে। আমাদের কৃষি নির্ভর জাতীয় অর্থনীতিতেও বাগেরহাট একটা বড় ভূমিকা রাখছে। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র, বন্দর, ইপিজেড ছাড়াও মংলাতে অর্থনৈতিক জোন হচ্ছে। এগুলো সবই আমাদের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৬
এনটি/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।