ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মিশরের রাষ্ট্রদূতের গাড়ি জব্দ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৭
মিশরের রাষ্ট্রদূতের গাড়ি জব্দ বিলাসবহুল রেঞ্জ রোভার/ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: কূটনৈতিক শুল্কমুক্ত সুবিধার অপব্যবহার করায় মিশরের রাষ্ট্রদূতের ব্যবহৃত বিলাসবহুল রেঞ্জ রোভার জব্দ করা হয়েছে।

দীর্ঘ নজরদারির পরে রোববার (১৫ জানুয়ারি) রাজধানীর বারিধারার এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে গাড়িটি জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। পরে সংস্থাটির মহাপরিচালক ড. মইনুল খান বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

ড. মইনুল খান জানান, সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর বারিধারার ডিপ্লোম্যাটিক জোনের ১ নম্বর রোডের ১১ নম্বর বাড়ি থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়।

২০১৪ সালের সাদা রঙের রেঞ্জ রোভার গাড়িটির হলুদ নম্বরপ্লেটে লাগানো ছিলো (দ ৬৮-০১৬)। হলুদ নম্বরপ্লেট প্রিভিলেজ পার্সন ছাড়া ব্যবহার করা যায় না বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

ঢাকাস্থ মিশরীয় রাষ্ট্রদূত মাহমুদ ইজ্জত ২০১৬ সালে শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়িটি আমদানি করে অবৈধভাবে শুল্ককর পরিশোধ না করে গাড়িটি ছাড় করে নেয়।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ থেকে ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল ছাড় করানো হয়। গাড়িটির মূল্য ৭৭ লাখ ৭৩ হাজার ৩২৮ টাকা। সম্ভাব্য শুল্ককর ৪ কোটি ৬৭ লাখ ৪৭ হাজার ৭৫১ টাকা (৬০১ শতাংশ শুল্ককর)।
 বিলাসবহুল রেঞ্জ রোভার/ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
শুল্ককরসহ গাড়িটির মোট মূল্য প্রায় ৬ কোটি টাকা। ইউকের ২০১৪ সালে তৈরি গাড়িটি ২৯৯৩ সিসির। গাড়িটি বর্তমানে চট্টগ্রামের ইন্ট্রাকো গ্রুপ ও হোটেল আগ্রাবাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুদা আলী সেলিম ব্যবহার করছেন।

ড. মইনুল খান আরও জানান, মিশরের রাষ্ট্রদূত মাহমুদ ইজ্জত কূটনৈতিক শুল্কমুক্ত সুবিধার নম্বরপ্লেটের গাড়িটি বিক্রি করছেন। গত কয়েক মাস আগে বাংলাদেশ ত্যাগ করেছেন তিনি।

কাস্টমস আইন অনুযায়ী, দেশ ত্যাগের সময় গাড়িটি ফেরত বা হস্তান্তরের নিয়ম থাকলেও তা করা হয়নি। গাড়িটি হুদা আলী সেলিমের কাছে বিক্রি করে দেন তিনি।

হুদা আলী সেলিম প্রিভিলেজ পার্সন না হলেও গাড়িটি গত ছয় মাস ধরে হলুদ নম্বরপ্লেট সংযুক্ত অবস্থায় ব্যবহার করে আসছেন।

গাড়িটি রাষ্ট্রদূতের কাছ থেকে কিনলেও বৈধ হস্থান্তরের ক্ষেত্রেও নতুনভাবে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শেষে নতুন মালিকের স্ট্যাটাস অনুযায়ী নম্বরপ্লেট গ্রহণের বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা করা হয়নি।

কাস্টমস আইন অনুযায়ী, বিদেশি কূটনৈতিক দেশ ত্যাগের পূর্বে শুল্কমুক্ত সুবিধার গাড়ির বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও এনবিআর এ আবেদন করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি।

কূটনৈতিক শুল্কমুক্ত সুবিধার অপব্যবহার করায় ইতোমধ্যে ইউএনডিপির সাবেক আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফান প্রিজনার, আইএলও কর্মকর্তা কিশোর কুমার সিং ও নিসকে জ্যানসনের গাড়ি জব্দ করা হয়েছে।

এছাড়া উত্তর কোরিয়ার কূটনৈতিক হ্যান সন ইক বিএমডব্লিউও এক্স-৫ এর মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে আমদানি করা বিলাসবহুল রোলস রয়েস ঘোস্ট গাড়িটিও জব্দ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৭
আরইউ/ওএইচ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।