ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রায়ের পর কারাগারের পথে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৭
রায়ের পর কারাগারের পথে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা প্রিজন ভ্যানে আসামিরা/ ছবি- জি এম মুজিবুর

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ খুনের রায় ঘোষণায় পর দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদেরকে নিয়ে বিভিন্ন কারাগারের উদ্দেশ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণ ছেড়েছে প্রিজন ভ্যান। প্রতিটি ভ্যানের সঙ্গে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা লক্ষ্য করা গেছে। 

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টার কিছু সময় পর রায় ঘোষণা শেষে আসামিদের একে একে এজলাস থেকে বের করে কঠোর নিরাপত্তায় প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। এ সময় ৠাব, পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সতর্ক অবস্থান লক্ষ্য করা যায়।

 

রায়ে সাত খুনের দায়ে নূর হোসেন ও ৠাবের ৩ কর্মকর্তাসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। ৩৫ জন আসামির মধ্যে বাকি ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
 
নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়কে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই নারায়ণগঞ্জ আদালত চত্বরে নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আইনজীবী ছাড়া অন্য কাউকে আদালত চত্বরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। আদালত চত্বরের বাইরে নিরাপত্তা চৌকি বসিয়ে সবাইকে তল্লাশি করা হচ্ছে।  

৭ খুনের ঘটনায় দু’টি মামলার বিচারিক কার্যক্রম একসঙ্গে শেষ হয়েছে। একটি মামলার বাদী নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল এবং অপরটির বাদী নিহত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি।

মামলা দু’টির চার্জশিটে ৩৫ জন অভিন্ন আসামি। তাদের মধ্যে ২৩ জন গ্রেফতার, ১২ জন পলাতক রয়েছেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নাসিকের সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, ৠাব-১১’র সাবেক অধিনায়ক লে. কর্নেল (অব.) তারেক সাঈদ মুহাম্মদ, মেজর (অব.) আরিফ হোসেন, লে. কমান্ডার (অব.) মাসুদ রানা, ৠাবের সদস্য এসআই পূর্ণেন্দু বালা, এএসআই বজলুর রহমান, এএসআই আবুল কালাম আজাদ, হাবিলদার এমদাদুল হক, হাবিলদার নাসির উদ্দিন, কনস্টেবল শিহাব উদ্দিন, কনস্টেবল বাবুল হাসান, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্সনায়েক হীরা মিয়া, বেলাল হোসেন, ল্যান্স কর্পোরাল রুহুল আমিন, সিপাহী আবু তৈয়্যব, সিপাহী নুরুজ্জামান, সিপাহী আসাদুজ্জামান নূর এবং নূর হোসেনের সহযোগী মোর্তুজা জামান চার্চিল, আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান দীপু, রহম আলী ও আবুল বাশার।

পলাতক আসামিরা হলেন- নূর হোসেনের সহযোগী ভারতে গ্রেফতার সেলিম, সানাউল্লাহ সানা, শাহজাহান ও জামাল উদ্দিন এবং ৠাবের আট সদস্য কর্পোরাল লতিফুর রহমান, সৈনিক আবদুল আলী, সৈনিক মহিউদ্দিন মুন্সী, সৈনিক আলামিন শরীফ, সৈনিক তাজুল ইসলাম, সার্জেন্ট এনামুল কবির, এএসআই কামাল হোসেন ও কনস্টেবল হাবিবুর রহমান।

দু’টি মামলারই অভিন্ন সাক্ষী ১২৭ জন করে। তাদের মধ্যে তদন্ত কর্মকর্তাসহ ১০৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৭ 
জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।