ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

স্বাধীন বাংলায় ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক অব পাকিস্তানের নামফলক!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৭
স্বাধীন বাংলায় ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক অব পাকিস্তানের নামফলক! স্বাধীনতার ৪৬ বছর পরও ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক অব পাকিস্তানের নামফলক!

টাঙ্গাইল: সোনালী ব্যাংকের টাঙ্গাইল শাখার সামনে থাকা ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (ব্যাংক) অব পাকিস্তানের নামফলকটি পরিবর্তন করা হয়নি স্বাধীনতার ৪৬ বছর পরও। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। 

১৯৬৮ সালের ১৮ মে ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক অব পাকিস্তানের টাঙ্গাইল শাখাটি উদ্বোধন করেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকারের অর্থমন্ত্রী ড. মির্জা নূরুল হুদা।  

১৯৭১ সালের নয়মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়।

চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয় ১৬ ডিসেম্বর। তারপর দেশের সকল ব্যক্তিগত, স্বায়ত্বশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ব সকল সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের নাম-ঠিকানা পরিবর্তন করা হয়।

নবগঠিত বাংলাদেশ ব্যাংক ১৯৭২ সালে অধ্যাদেশ জারি করে ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক অব পাকিস্তান, প্রিমিয়ার ব্যাঙ্ক এবং ব্যাঙ্ক অব বাহাওয়ালপুরকে অধিগ্রহণ করে ‘সোনালী ব্যাংক’ প্রতিষ্ঠা করে। তখন থেকেই ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান বিলুপ্ত হয়ে যায়।  

মহান স্বাধীনতার ৪৬ বছর পরও টাঙ্গাইলে প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক অব পাকিস্তানের নামফলকটি পরিবর্তন বা সরিয়ে ফেলতে পারেনি সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।  

গত বছরের ২৫ এপ্রিল বিষয়টি প্রথম সকলের নজরে এলে সোনালী ব্যাংকের তৎকালীন ডিজিএম নুর মোহাম্মদকে অবহিত করা হয়। তিনি সঙ্গে সঙ্গেই সেটিকে একটি কাগজ দিয়ে ঢেকে দেন এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত নামফলকটি উঠিয়ে ফেলার ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে গত দেড় বছরেও নামফলকটি অপসারণ বা স্থায়ীভাবে ঢেকে দেওয়া হয়নি।  

টাঙ্গাইল জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আবুল কালাম আজাদ বীরবিক্রম বলেন, ‘মহান স্বাধীনতার ৪৬ বছর পরও নামফলকটি থাকে কিভাবে? সেটি দ্রুত অপসারণ করা না হলে আমরা আদালতে যাবো’।  

টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও জেলা কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আনিসুর রহমান (দাদু ভাই) বলেন, ‘একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এটি আমি মেনে নিতে পারি না। এটি কি ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক অব পাকিস্তানের টাঙ্গাইল শাখা নাকি সোনালী ব্যাংক টাঙ্গাইলের প্রধান শাখা?’

ব্যাংকের ডিজিএম মো. মুশাররফ হোসেন বলেন, ‘এটিকে আমরা এখনই বোর্ড দিয়ে ঢেকে দেবো। পরে অফিসিয়াল আদেশ তৈরি করে অপসারণ করে ফেলা হবে’।

সোনালী ব্যাংকের পরিচালক মো. নূরুল আলম তালুকদার বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের দৃষ্টিগোচরে ছিল না। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে অফিসিয়ালি সমাধান করে ফেলবো’।  

বাংলাদেশ সময়: ২২৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৭ 
এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।