ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বীর সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৭
বীর সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ মুক্তির জয়গানে মুখর কৃতজ্ঞ বাঙালি জাতি শ্রদ্ধাবনত চিত্তে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করবে জাতীয় স্মৃতিসৌধে। ছবি: বাংলানিউজ

সাভার (ঢাকা): ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া বাংলাদেশের চূড়ান্ত বিজয়ের ৪৬ বছর পূর্তিকে ঘিরে সাভার সাজছে উৎসবের সাজে। মুক্তির জয়গানে মুখর কৃতজ্ঞ বাঙালি জাতি শ্রদ্ধাবনত চিত্তে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করবে জাতীয় স্মৃতিসৌধে।

দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় আমাদের কাঙ্খিত প্রিয় স্বাধীনতা। জাতির সেই বিজয়ের স্মরণে জাতীয় স্মৃতিসৌধ চত্বর ঘিরে উৎসবের নগরীতে পরিণত হবে ৪৭তম মহান বিজয় দিবসে।

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের মধ্য দিয়ে স্মৃতিসৌধে শুরু হবে রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতা। বিভিন্ন বাহিনীর নেতৃত্বে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বিরামহীনভাবে চলছে তারই মহড়া। একইসঙ্গে পুরোদমে চলছে স্মৃতিসৌধ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ।

বিভিন্ন বাহিনীর নেতৃত্বে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বিরামহীনভাবে চলছে র‍াষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতা পালনের মহড়া।  ছবি: বাংলানিউজরং-তুলির আঁচড়, বাহারি ফুলের শোভা আর সৌন্দর্যের অপরুপ আবরণে সাজানো হচ্ছে পুরো এলাকাটিকে। প্রকৃতিও যেন সেজেছে বাহারি রঙে।

সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) ফখরুল আলম সমর বাংলানিউজকে বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। হেমায়েতপুর ও এর আশেপাশের এলাকাকে নতুনভাবে সাজানো হচ্ছে। রাতে বাহারি রঙের আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বিজয় উৎসবকে নির্বিঘ্ন করতে সাভারকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান। জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও আশেপাশের এলাকায় থাকবে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। লাগানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।

তিনি আরো জানান, আমিনবাজার থেকে নবীনগর পর্যন্ত পুরো রাস্তায় আরো বেশি সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন। অনেক সুযোগ সন্ধানী বা নাশকতার পরিকল্পনাকারীরা এ ধরনের অনুষ্ঠানে নাশকতার পরিকল্পনা করে থাকেন। তাই বিশেষ ধরনের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে।

পুরোদমে চলছে স্মৃতিসৌধ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ।  ছবি: বাংলানিউজজাতীয় স্মৃতিসৌধের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান জানান, জাতীর বীর সন্তানদের সন্মান জানাতে পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে স্মৃতিসৌধ। ইতোমধ্যেই ধোয়া-মোছার কাজ শেষ হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৭
এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।