ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বিজয় উৎসবে সাপে-নেউলে লড়াই

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৭
বিজয় উৎসবে সাপে-নেউলে লড়াই খুলনার বিজয় মেলায় সাপে-নেউলে লড়াই/ছবি: মানজারুল ইসলাম

খুলনা: গ্রাম-গঞ্জে সাপ আর বেজির খেলা অনেকেই দেখেছেন। তবে যান্ত্রিক শহরে সাপুড়ের সাপ ও বেজির খেলা খুব একটা দেখা যায় না। প্রকৃতিতে সাপ আর বেজি চিরদিনের শত্রু। শত্রুতা বোঝাতে প্রবাদই তৈরি হয়ে গেছে ‘সাপে-নেউলে সম্পর্ক’। মানুষেরও বড় শত্রু সাপ। সেই সাপ-বেজির খেলা দেখার সুযোগ পেলে হাতছাড়া করতে চান না কেউই। 

যেমনটি শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) ছুটির দিনের শেষ বিকেলে খুলনার জাতিসংঘ শিশুপার্কে সাপ-বেজির খেলা দেখতে ভিড় করেছেন হাজারও মানুষ।  

মহান বিজয় দিবস-২০১৭ উপলক্ষে আয়োজিত তিনদিন ব্যাপী বিজয় উৎসবের আয়োজন করেছে জাতিসংঘ শিশুপার্ক পরিবেশ উন্নয়ন কমিটি।

 

বিজয় উৎসবে সবচেয়ে বেশি ভিড় মজার সাপ-বেজির লড়াই দেখতে। সাপ দেখলে হিংস্র হয়ে ওঠে বেজি। কেউ কাউকে হারাতে রাজি নয়। যত কৌশল আছে সবই প্রয়োগ। এর সঙ্গে যোগ হয় শক্তি। দর্শকরাও উত্তেজিত দেখার জন্য সাপ কীভাবে পরাভূত হয় বেজির কাছে।  
খুলনার বিজয় মেলায় সাপে-নেউলে লড়াই/ছবি: মানজারুল ইসলাম
সন্ধ্যা হতে না হতেই চির শত্রু সাপ বেজির জমজমাট লড়াই দেখতে উৎসুক জনতার ঢল নেমেছে। কয়েক জোড়া সাপ নিয়ে দলে উপদলে ভাগ হয়ে সাপ খেলা ও সাপ বেজির লড়াই দেখিয়ে সাধারণ জনতাকে আনন্দ দিচ্ছে সাপুড়েরা।  

রহমান নামে এক দর্শক বলেন, সাপ-বেজির আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ দেখতে খুব মজা লাগছে। এর আগে বাস্তবে সাপ বেজির খেলা দেখার সুযোগ হয়নি। এবার হলো।  

সাপ-বেজির খেলার পাশেই বানরের নাচ। যা দেখে মুগ্ধ শিশু-কিশোরসহ সবাই। বানর জনে জনে হাত মিলিয়ে সালাম করছে। ঢাকার আশুলিয়া থেকে এ বানর নিয়ে এসেছেন মো. আলমগীর।   

সাপের খেলা দেখিয়ে বেশি দর্শকদের মন জয় করেছেন গাজীপুর থেকে আসা মো. সুজন। তিনি জানান, ছোটবেলা থেকেই সাপের খেলা দেখান। এছাড়া সবাইকে যাদু দেখিয়ে মুগ্ধ করেছেন মো. স্বপন ডিনার।  

সন্ধ্যার পর প্রধান অতিথি থেকে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন জাতিসংঘ শিশুপার্ক পরিবেশ উন্নয়ন কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ও খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজান।  
খুলনার বিজয় মেলায় বানরের খেলা/ছবি: মানজারুল ইসলাম
এসময় তিনি বলেন, গ্রামীণ সংস্কৃতির অংশ বিভিন্ন খেলাধুলা কালের আবর্তে হারিয়ে যাচ্ছে।  সেই খেলাগুলো নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে বিজয় উৎসবে সাপ-বেজির লড়াই, বানরের নাচের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও লোকজ নানান আয়োজন রয়েছে এখানে। যা দেখে বিজয় উৎসবে আসা দর্শনার্থীরা গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য উপভোগ করবেন।
 
এসময় উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘ শিশুপার্ক পরিবেশ উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাসান আহমেদ মোল্লা, আব্বাস উদ্দিন একাডেমির সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক বাচ্চুসহ আয়োজক কমিটির সদস্যরা।

প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বিজয় উৎসব সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৭
এমআর/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।