ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

একাত্তরে রক্ত দিতে পেরে গর্বিত ভারতীয়রা  

উত্তম ঘোষ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৭
একাত্তরে রক্ত দিতে পেরে গর্বিত ভারতীয়রা   বক্তব্য রাখছেন হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা/ছবি: বাংলানিউজ

মণিরামপুর (যশোর): ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উৎসাহে বাংলাদেশি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে ভারতীয় সৈন্যরা একসঙ্গে যুদ্ধ করেছিলেন। স্বাধীনতার জন্য একসঙ্গে রক্ত দিয়েছিলেন। এটা ভারতীয়দের জন্য গর্বের মুহূর্ত ছিল।

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টায় মণিরামপুরের মশিয়াহাটিতে স্থানীয় যুব সংঘ আয়োজিত ৫১ শক্তিপীঠের ৫১ খণ্ড কালিপূজা পরিদর্শন শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা একথা বলেন।

শ্রিংলা বলেন, বঙ্গবন্ধু ও ইন্দিরা গান্ধী দু'দেশের শক্তিশালী সম্পর্কের বীজ বপন করেছিলেন।

বর্তমানে সেই সম্পর্ক শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদী নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। এ সম্পর্ক চিরদিন থাকবে।  

‘বর্তমানে বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ-ভারত নিজেদের স্থান করে নিয়েছে। এছাড়াও সম্প্রতি বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক খাতে গুরুত্বপূর্ণ উন্নতি করেছে। এই অর্জনে আমরাও গর্বিত। ’ 

বাংলাদেশ চরমপন্থী ধারণা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে সাহসী ভূমিকা রেখেছে জনিয়ে শ্রিংলা বলেন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্যকর্ম দু’দেশের মানুষের সুখ-দুঃখের কথা বলে। আমরা অবশ্যই শান্তি-সংহতিতে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে একে অপরের পাশে থাকবো।  

খুলনাঞ্চল সফরকালে চুকনগরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ১০ হাজার মানুষকে গণহত্যার ঘটনা শুনে গভীরভাবে মর্মাহত হয়েছেন বলেও জানান তিনি।

এছাড়াও যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়িতে বেড়াতে গিয়ে যশোরের বিখ্যাত সন্তান মাইকেল মধুসূদনের সাহিত্যকৃতির কথা শুনে মুগ্ধ হয়েছিলেন শ্রিংলা।

এসব স্থান ভ্রমণকালে স্থানীয় এমপি স্বপন ভট্টাচার্যের কাজে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে তার ছেলে শুভ ভট্টাচার্য ও যশোর রামকৃষ্ণ আশ্রমের অধ্যক্ষকে ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠান শেষে মশিয়াহাটী আঞ্চলিক যুবসংঘের পক্ষ থেকে স্থানীয় এমপি স্বপন কুমার ভট্টাযার্য প্রধান অতিথির হাতে যশোরের ঐতিহ্যবাহী খেজুর গাছের একটি ক্রেস্ট দেন।

এ সময় যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনের সংসদ সদস্য স্বপন কুমার ভট্টাচার্য, ভারতীয় হাই কমিশনের প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) রাজেশ উইকে ও নবনীতা চক্রবর্তী, অ্যাটাশে-প্রেস, ইনফরমেশন ও কালচার রঞ্জন মন্ডল, যশোর রামকৃষ্ণ আশ্রম অধ্যক্ষ স্বামী জ্ঞানপ্রকাশানন্দ মহারাজ উপস্থিত ছিলেন।  

অনুষ্ঠানের শুরুতে ঢাক-ঢোল, উলু আর শঙ্খ ধ্বনিতে কয়েক হাজার মানুষ প্রধান অতিথিকে বরণ করে নেয়।

***খুলনাঞ্চলের উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখছে ভারত
***ভারতে মেডিকেল ভিসা নিলেও বলবৎ
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৭
ইউজি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।