ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শিশু ধর্ষণকারীর মৃত্যুদণ্ড চান বি চৌধুরী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৭
শিশু ধর্ষণকারীর মৃত্যুদণ্ড চান বি চৌধুরী বাংলাদেশ ইয়ুথ পার্লামেন্টের অনুষ্ঠানে বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী

ঢাকা: শিশু ধর্ষণকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হতে সরকার পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট বার মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ ইয়ুথ পার্লামেন্ট-২০১৭’ এর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, এখানে চার বছরের বাচ্চাকে ধর্ষণ করা হয়, লজ্জায় মাথা হেট হয়ে যায়।

বাচ্চা-বাচ্চা মেয়েরা ধর্ষিত হচ্ছে। আমি অনেকবার বলেছি, যারা শিশু ধর্ষণ করে তাদের একমাত্র মৃত্যুদণ্ড সাজা দিতে হবে। করে না, কেন করে না? আমরা দেখি নাই?। যখন চারদিকে এসিড মারা হতো, যেই এর শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে কাপুরুষরা পালিয়ে গেল। কাল আইন করা হোক যে, শিশু ধর্ষণের আসামির বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণ হলে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। আমি গ্যারান্টি দিলাম, তার সাত দিনপর থেকে শিশু ধর্ষণ হবে না। অন্যান্য ধর্ষণের শাস্তি যাবজ্জীবন হওয়া উচিত। যাবজ্জীবন হবে যতদিন না মরবে ততদিন পর্যন্ত জেলে থাকতে হবে।
 
বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, তথাকথিত সাংবিধানিক অধিকার দিয়ে প্রেসিডেন্টের নামে দোষগুলো চাপানো হয়। আসে সরকার থেকে রিকোয়েস্ট। প্রেসিডেন্ট সই করে দেয়, মাফ করিয়া দিলাম। এই মাফ করার অধিকার প্রেসিডেন্টকে বন্ধ করতে হবে, সন্ত্রাসদের মাফ করতে পারবেন না। ধর্ষণকারীকে মাফ করতে পারবেন না।
 
তিনি বলেন, যাদের উপর অবিচার হচ্ছে, যাদের গুম করা হয়েছে, তাদের পরিজনদের কথা তোমরা ভাবো, চিন্তা কর। স্বাধীন দেশে মানুষ গুম হয়ে গেল, হারিয়ে গেল, এটা কী সহ্য করার মতো অপরাধ?
 
তিনি আরো বলেন, ক্লাস ওয়ান, টু, থ্রি, প্রাইমারি স্কুলের ছাত্র, তার পরীক্ষার কাগজ (প্রশ্ন) নাকি ফাঁস হয়ে যায়! এরকম অপরাধের পরও মন্ত্রী স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন না। তাদের (অপরাধী) বহিস্কারও করা হয় না। এরা কী শিক্ষক থাকার উপযুক্ত? এ ধরনের ঘটনার পর মন্ত্রীও থাকা উচিত না, কিছুতেই না। কিন্তু তারা ঘাবড়ায় না, শক্ত-পাষণ্ড এরা। এসব নিয়ে তরুণদের ভাবতে হবে।
 
ক্ষমতাসীনরা দুর্নীতি না করলে দেশের ৮০ শতাংশ দুর্নীতি কমে যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বাংলাদেশ ইয়ুথ পার্লামেন্টের চেয়ারপারসন রুমানা ইসলাম অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৭ 
আরএম/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।