রোববার (৩১ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ৩টার দিকে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় কয়েক ঘণ্টা আগেও যেখানে ছিল আনন্দ উল্লাসে মাতামাতি, সেখানে তখন সুনসান নীরবতা। রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় দুই-একটি কুকুর ঘুরতে দেখা গেছে।
গুলশান-২ নম্বর চত্বরে রাত ১২টায় ব্যাপক পুলিশি তৎপরতা থাকলেও রাত ৩টার পর তা ছিল অনেকটা শিথিল। তবে প্রতিটি চেকপয়েন্টে প্রতিদিনের মতো দায়িত্বপালন করতে দেখা যায় পুলিশ সদস্যদের।
বনানী কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ পুরোটাই ফাঁকা ছিল। বনানী বাজারের আশেপাশেও কোনো লোকজন খুঁজে পাওয়া যায়নি। অথচ কয়েক ঘণ্টা আগেও সেখানে চলেছে বর্ষবরণের মাতামাতি।
মহাখালী ফ্লাইওভারে ওঠার মুখে চেকপোস্টে দু’জন পুলিশকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। ফার্মগেটে কোনো মানুষ চোখে পড়েনি। কারওয়ান বাজার প্রধান সড়কে ছিল ট্রাক আর পিকআপের সারি। প্রতিটি গাড়ি দূরদূরান্ত থেকে কাঁচামাল নিয়ে এসে এখানে লাইন ধরেছে। শ্রমিকেরা মালপত্র নামাতে ব্যস্ত। এই ফাঁকে চালকেরা গাড়িতে বসে খানিকটা ঘুমিয়ে নিচ্ছে।
কারওয়ান বাজার পার হয়ে সোনারগাঁও মোড়ে যেতেই দেখা গেল অন্যরকম একটি দৃশ্য। ঘড়ির কাঁটায় রাত তখন সাড়ে ৩টা। একটি ভ্যানে করে একজন কাঁচামাল ব্যবসায়ী ফুল কপি নিয়ে যাচ্ছিলেন, পেছন থেকে দু’টি শিশু সেই কপি থেকে টেনে দুই-তিনটি বের করে নিয়ে দৌড়। কপির মালিক সেটা দেখলেও কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওরা হাওয়া।
ভোর ৪টার দিকে গিয়ে দেখা যায় শাহবাগ, টিএসসি, নীলক্ষেতসহ পুরো এলাকা ঘুমিয়ে পড়েছে। কয়েকজন পথচারী দেখা গেলেও বর্ষবরণে যারা উল্লাসে মেতে উঠেছিল তাদের কাউকে এসব জায়গায় দেখা যায়নি।
এরপর মৎস্যভবন, কাকরাইল, মগবাজার মোড় হয়ে হাতিরঝিলের এফডিসি পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায় হাতিরঝিলের প্রবেশমুখে বেরিকেড দিয়ে রাখা হয়েছে। হয়তো গভীর রাতে কাউকে হাতিরঝিলে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। উঁকি ঝুঁকি দিয়ে হাতিরঝিলের ভেতরে কাউকে দেখা গেলো না।
সোজা সাতরাস্তা, তেজগাঁও হয়ে মহাখালী বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, সারি সারি পরিবহন রাস্তার ওপরে দাঁড়িয়ে আছে। তবে কোনো যাত্রী ছিল না। দুই-একটি বাস তখনও দূর পাল্লার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিন্তু টার্মিনালে কোনো যাত্রী না থাকায় তাদের খালিই যেতে হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৮
এমএইচ/এসআই