তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে সামনে আরও এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের পণ্যের প্রসার করতে হবে।
সোমবার (০১ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রের হল অব ফেমে ২৩তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা বলেন।
পরে নির্মিতব্য পদ্মাসেতুর আদলে তৈরি বাণিজ্যমেলার প্রধান গেটে ফিতা কেটে দুপুরে মাসব্যাপী এ মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
উদ্বোধনের পর শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে যান এবং এর উদ্বোধন করেন। পরে মেলার কয়েকটি স্টল ঘুরে দেখেন তিনি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প যাতে গড়ে ওঠে এবং প্রসার লাভ করে সেজন্য প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। বিনিয়োগ বাড়াতে নীতিমালা প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ করা হয়েছে। যাতে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা পান।
শেখ হাসিনা বলেন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। বিশ্ব ব্যাংকের সামাজিক উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশ তাদের কাছে বিস্ময়। ২০৫০ সালে পশ্চিমা দেশগুলোকেও ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ।
‘বাংলাদেশ সক্ষমতা অর্জন করেছে, এখন কারো কাছে হাত পেতে চলে না। এখন উন্নয়ন প্রকল্পের ৯০ শতাংশ নিজস্ব অর্থায়নে ব্যয় করা হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য জাতির পিতার সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা। ’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশকে বাণিজ্যিকভাবে উন্নয়ন করতে কাজ করছি। পাশাপাশি নতুন পণ্য উৎপাদন ও এসব পণ্যের গুণগত মান যাতে বজায় থাকে সে দিকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
‘বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ। আমরা কারো কাছে হাত পেতে চলবো না। দেশ গড়তে এসেছি, নিজের ভাগ্য গড়তে নয়। প্রধানমন্ত্রিত্ব অল্প সময়ের, এই সময়ে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য কতটুকু গড়তে পারি সেটাই লক্ষ্য। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের নাগরিকরা যাতে মাথা উঁচু করে চলতে পারে সেটাই আমাদের লক্ষ্য,’ বলেন শেখ হাসিনা।
এ সময় তার সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম, বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু, এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান বিজয় ভট্টাচার্য্য।
এবারের মেলায় ছোট বড় মিলিয়ে সর্বমোট ৫৮৯টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন থাকছে। এর মধ্যে বিভিন্ন ক্যাটাগরির মোট প্যাভিলিয়ন রয়েছে ১১২টি। ৭৭টি মিনি প্যাভিলিয়ন ছাড়াও আছে ৪০০টি স্টল।
মেলায় ১৭টি দেশের মোট ৪৩টি প্রতিষ্ঠানের স্টল বা প্যাভিলিয়ন আছে।
এছাড়া দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য থাকছে ২টি শিশু পার্ক ও সুন্দরবনের আদলে একটি ইকো পার্ক।
বাণিজ্যমেলায় গেট পদ্মাসেতুর আদলে তৈরি করা হয়েছে। সোমবার থেকে শুরু হওয়া এ মেলা চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত।
বাংলাদেশ সময়: ১২০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৮/আপডেট: ১৪৩৬ ঘণ্টা
এমইউএম/এমএ