রোববার (৩১ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার দৈখাওয়া আমঝোল সীমান্তের ৯০৫ নম্বর মেইন পিলারের দুই নম্বর সাব পিলার এলাকায় বাংলাদেশ পুলিশের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে ভারতীয় পুলিশ।
নিহত শফিকুল ইসলাম দৈখাওয়া আমঝোল সীমান্ত এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে।
এর আগে শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোর ৫টার দিকে ওই সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে অবৈধভাবে গরু নিয়ে ফিরছিলেন শফিকুল। এসময় ভারতীয় কোচবিহার-১০০ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের পাগলিবাড়ি ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা তাকে গুলি হত্যা করে।
এদিকে, সীমান্তে বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যার এ ঘটনাটি দেশের সব গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলেও তা অস্বীকার করেন লালমনিরহাট ১৫ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম মোর্শেদ। তিনি ওই সংবাদটির প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিও দিয়েছিলেন। তাতে তিনি দাবি করেন, সংবাদে উল্লেখিত নিহত শফিকুল ইসলাম জীবিত রয়েছেন এবং তিনি হাউজি খেলতে কালীগঞ্জে রয়েছেন। পরে রোববার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় অবশ্য ওই সীমান্তে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক হয়।
পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম মোর্শেদ এবং ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন কোচবিহার-১০০ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল অবিনাশ রঞ্জন।
পতাকা বৈঠক শেষে হাতীবান্ধা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুর আলমের কাছে মরদেহ ফেরত দিয়েছেন ভারতীয় শীতলকুচি থানার এসআই সুমিত্র সরকার। এ সময় লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি’র দৈখাওয়া কোম্পানি কমান্ডার আব্দুল কাদের ও কোচবিহার-১০০ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের পাগলীমারী কোম্পানি কমান্ডার দেবরাজ সিংহ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম মোর্শেদ বাংলানিউজকে জানান, বৈঠকে বাংলাদেশি রাখাল শফিকুলকে গুলি করে হত্যার সত্যতা স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেছে বিএসএফ। আগামীতে এমন না ঘটানো প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে বিএসএফ। প্রথমে নিহত শফিকুলের পরিবারের দাবির আলোকে তিনি জীবিত এবং হাউজি খেলতে গেছেন বলে জানানো হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৮
এসআই
**হাতীবান্ধা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত