কর্মসূচি পালনকালে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ বিনয় ভুষণ রায় বলেন, আমরণ অনশনে ১২ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। কিন্তু এ দাবি নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কেউ যোগাযোগ করেনি।
তিনি বলেন, স্বীকৃতিপ্রাপ্ত পাঁচ হাজার ২৪২টি নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৮০ হাজার শিক্ষক বছরের পর বছর বিনা বেতনে পাঠদান করে যাচ্ছেন, তাদেরকে মানবেতর জীবন-যাপন করতে হচ্ছে। এ কারণে আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। একই দাবিতে গত মাসের ২৬ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত একইস্থানে (জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে) ‘অবস্থান কর্মসূচি’ পালন করা হয়েছিলো। এরপর রোববার থেকে দাবি পূরণে ‘আমরণ অনশন’ কর্মসূচি চলছে।
এ আন্দোলনের পাশেই জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের নিবন্ধিত সব ইবতেদায়ি মাদরাসা জাতীয়করণের দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেছে।
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষক সমিতির মহাসচিব কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, প্রায় ২৯ বছর ধরে ইবতেদায়ি মাদরাসার বেশিরভাগ শিক্ষকরা তেমন কোনো বেতন ভাতা না পান না। আমাদের যৌক্তিক দাবি জাতীয়করণের ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার অবস্থান ধর্মঘট চালিয়ে যাবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৭
ইএস/জেডএস