সোমবার (১ জানুয়ারি) সকালে নতুন বছরের প্রথম দিন উৎসবের মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিনামূল্যে বই বিতরণ করা হয়।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা সকালে রাঙামাটি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এবং রাঙামাটি বনরূপা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠ্যপুস্তক উৎসবের উদ্বোধন করেন।
বই উৎসবের দু’টি স্কুলে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা উত্তম খীসা, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রওশন আলী, রাঙামাটির সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবু সাহেদ চৌধুরীসহ শিক্ষক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গভর্নিং বোর্ডের সভাপতি সদস্যরা উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাঠ্যবই বিতরণ করেন।
গত বছরের মতো এবছরও প্রাথমিক পর্যায়ে প্রাক-প্রাথমিক তথা শিশু শ্রেণি ও প্রথম শ্রেণির ২৫ হাজার শিক্ষার্থীর হাতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাতৃভাষায় রচিত বই তুলে দেওয়া হয়। নতুন বই পেয়ে শিক্ষার্থীদের মনে খুশীর বন্যা বয়ে যায়।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী গত বছরের মতো এবছরও শিশু শ্রেণির পাশাপাশি প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থীরাও এই প্রথম নিজস্ব মার্তৃভাষায় রচিত বই পেলো। মাতৃভাষায় শিক্ষার সুযোগ আরো অনেক বাড়ল বলে জানান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা।
২০১৮ শিক্ষাবর্ষের জন্য রাঙ্গামাটিতে বিনামূল্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আড়াই লাখ পাঠ্যবই বিতরণ করা হবে বলে জানায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রওশন আলী।
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বইয়ের মধ্যে চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর ভাষায় রচিত বইগুলো আকর্ষণীয় হওয়ায় শিশুরা পড়ালেখায় অনেক আগ্রহী হয়ে উঠবে বলে মনে করেন রাঙ্গামাটি বনরূপা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অর্চনা তালুকদার।
রাঙামাটির সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিজ নিজ উদ্যোগে আয়োজিত পাঠ্য পুস্তক উৎসবে শিক্ষার্থী অভিভাবকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, ০১ জানুয়ারি, ২০১৮
আরএ