সোমবার (১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় পাশ্ববর্তী রামগতি উপজেলার মেঘনা নদীর পাড় থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক দিদার কমলনগর উপজেলার চর ফলকন গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে।
এদিকে, ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্থানীয় কয়েকজন মাতব্বর তৎপরতা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণ রফাদফা করার কথা বলে অভিযুক্তের পরিবারের কাছ থেকে এক লাখ টাকা হাতিয়েও নিয়েছেন তারা।
তবে টাকা নয়, ঘটনার বিচার চায় নিপীড়িত কিশোরী ও তার পরিবার।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ২৬ ডিসেম্বর ওই কিশোরী জেলা পুলিশ সুপারের (এসপি) কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এতে অভিযুক্ত দিদারকে রেহাই দিতে মাতব্বরদের তৎপরতার অভিযোগও তোলা হয়।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ঘটনাটিকে পুঁজি করে মাতব্বররা নিজেদের পকেট ভারি করতে তৎপর হয়ে উঠেছে। তারা অভিযুক্তের পরিবারের কাছ থেকে এক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ওই টাকার মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত কিশোরীকে মাত্র ৪০ হাজার টাকা নেওয়ার জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে বলা হয়েছে। কিশোরীর পরিবার তাতে কর্ণপাত করেনি।
লিখিত অভিযোগ মতে, এক বছর আগে মোবাইল রিচার্জের দোকান থেকে কৌশলে দিদার তার (কিশোরীর) মোবাইল ফোন নম্বর সংগ্রহ করে। এরপর থেকে ফোনে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে চেষ্টা করে। ভালোবাসার কথা বলে অনৈতিক প্রস্তাব দেয়।
এতে রাজি না হওয়ায় গত ২০ ডিসেম্বর রাতে কিশোরী ঘর থেকে বের হলে ওঁৎ পেতে থাকা দিদার তার মুখ চেপে ধরে। পরে তাকে বাগানে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এসময় চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে দিদারকে আটক করে। তবে স্থানীয় ইব্রাহীম খলিল ও মো. সিরাজ বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নেন।
কিশোরীর মামাসহ স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, এরপর থেকে ঘটনাটি টাকার বিনিময়ে রফাদফা করতে কয়েকজন মাতব্বর উঠে-পড়ে লেগেছেন।
কিশোরীর স্বজনরা বলেন, আমরা টাকা নয়, বিচার চাই। আমাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে, বর্তমানে পরিবারের সদস্যরা আতংকে রয়েছে।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি সমাধানের চেষ্টার বিষয় আমার জানা নেই। তবে অভিযোগের প্রেক্ষিতে এক তরুণকে আটক করা হয়েছে। এটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৮
এইচএ/