মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।
কোতয়ালী এলাকায় এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর ৫২ লাখ টাকা ডাকাতির ঘটনায় সোমবার (১ জানুয়ারি) দিনগত রাতে আটক ৪ ডাকাতের বিষয়ে জানাতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
আটকেরা হলেন- মো. মাসুদ গাজী, মো. ইদ্রিস ওরফে বাবু ফরাজী, মো. আসাদ ও মো. ফারুক আহম্মেদ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৩ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
আব্দুল বাতেন বলেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। ডিবি পরিচয়ে কেউ অপরাধ করলে অবশ্যই তদন্ত করা হবে। যদি অপরাধের প্রমাণ মিলে তাহলে শাস্তি দেওয়া হবে।
ডাকাতির বিষয়ে তিনি বলেন, গত ১৪ ডিসেম্বর কোতয়ালীর রায় সাহেব বাজারের পপুলার ডায়গনস্টিক সেন্টারের সামনে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৫১ লাখ ৬৭ হাজার টাকা ডাকাতি হয়। ১০-১১ জন ডাকাত এ ঘটনা ঘটায়।
আটককৃতরা ডাকাতির কথা স্বীকার করেছে। এরা আগেও ভুয়া ডিবি পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও অপহরণ করেছে। তাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। জামিনে ছাড়া পেয়ে তারা আবার ডাকাতির ঘটনা ঘটায়।
ডিবির যুগ্ম-কমিশনার বলেন, আমরা সব সময়ই গার্মেন্টস অথবা ব্যাংকের মালিকদের বড় অঙ্কের টাকার লেনদেনের সময় স্থানীয় পুলিশের সহায়তা নিতে বলছি। কিন্তু তারা সহায়তা নিচ্ছেন না। এ ধরনের ছিনতাই, ডাকাত, অপহরণ চক্রের সদস্যরা বড় অঙ্কের টাকা লেনদেনের সময় টার্গেট করে ওঁৎ পেতে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৮
পিএম/আরআর