পূর্ব শত্রুতার জেরে দায়ের করা মামলায় আদালতের রায়ে খালাস পেয়ে বাড়িতে ঢুকতে চাইলে পরিবারটির সদস্যদের মারধর ও প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে স্থানীয় কয়েকজন সন্ত্রাসী।
মঙ্গলবার (০২ জানুয়ারি) দুপুরে রাজশাহী প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুল জলিলের মেয়ে রেহেনা বেগম।
বর্তমানে বাড়ি হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে পরিবারটি। সংবাদ সম্মেলন থেকে বাড়িটি ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, রাজশাহীর স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রেহেনা বেগম জানান, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই মহানগরীর শেখের চক মাদ্রাসা মাঠ সংলগ্ন সরকারি ২০ শতাংশ জমি ভোগ-দখল করে আসছিলেন তারা। জমির নিয়মিত খাজনাও পরিশোধ করেছেন।
২০১৩ সালের ২৪ নভেম্বর কবুতর নিয়ে প্রতিবেশী মর্তুজা পরিবারের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের স্বজনদের মারামারি হয়। এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হন। মারামারি ঘটনায় আহত মর্তুজার ছেলে জনি ১১ দিন পর মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। মামলায় একজন ছাড়া বাকি সবাইকে খালাস দেন আদালত।
তবে একই মারামারির ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধার পরিবারও মামলা দায়ের করলেও সেই মামলায় কাউকেই পুলিশ কাউকেই গ্রেফতার করেনি সংবাদ সম্মেলনে জানান রেহেনা আক্তার।
তিনি আরও বলেন, আমাদের পরিবারের কেউ জনি হত্যায় জড়িত ছিলো না। কিন্তু তারপরও আমাদের সবার নামে মামলা দায়ের করেছিলো প্রতিপক্ষ। মামলা দায়েরের পর থেকেই তারা প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছিলো। ফলে প্রাণ ভয়ে আমরা বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিলাম। এরপর প্রতিবেশী মৃত আব্দুল হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান রনি, অপ্সাত আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন, মাখন হাজীর ছেলে নুরু ও জনি বসতবাড়ি দখলে নেয়।
সংবাদ সম্মেলনে রেহেনার স্বামী শফিকুল ইসলাম, মেয়ে জামাতা শামিম আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৮
এসএস/এমজেএফ