মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সকালে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বিকেলে রেস্টুরেন্টটি সিলাগালা করে দেন কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
জানা যায়, ঈদগাঁও বাজারের ডিসি সড়কে খাস জমির উপর অবৈধভাবে নির্মিত পুবানি। ৩১ ডিসেম্বর থার্টিফাস্ট নাইট উপলক্ষে হোস্টেলের ছাত্ররা উৎসবের আয়োজন করে। তারা ৬৫ প্যাকেট তেহারির অর্ডার দেয় পুবানিতে। রাতে সেই খাবার খেয়ে পরদিন সবাই একেক করে অসুস্থতা বোধ করলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়। পরে তাদের ভর্তি হতে হয় পাশের একটি হাসপাতালে। ঘটনাটি চাউর হলে হোটেল মালিক উত্তম রায় ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করেন।
বিষয়টি কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নোমান হোসেনের নজরে এলে দ্রুত ওই হাসপাতালে ছুটে যান। অসুস্থ ছাত্রদের কথা শুনে অভিযুক্ত হোটেলে অভিযান চালিয়ে সিলগালা করে দেন এবং তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি টিম গঠন করেন।
এসময় সঙ্গে ছিলেন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল জাহান চৌধুরী এবং ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্রের একদল পুলিশ।
অসুস্থ ছাত্র মুবিন, মোবারক, আয়মন, ফয়সাল বাংলানিউজকে বলেন, দীর্ঘদিন ওই হোটেল থেকে আমরা খাওয়া-দাওয়া করে আসছি। ৩১ ডিসেম্বর ৬৫টি তেহারির প্যাকেটের অর্ডার দেই। সরলতার সুযোগে হোটেল কর্তৃপক্ষ বাসি খাবার সরবরাহ করে। এগুলো খেয়ে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ি।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে উক্ত হোটেলে পচা-বাসি, অপরিষ্কার খাবার পরিবেশন করে আসছিল। বেশ কয়েকদিন আগেও সদর ইউএনও এ হোটেলে জরিমানা করেন।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নোমান হোসেন বলেন, হোটেল মালিক উত্তম রায় পুলক পলাতক। রেস্টুরেন্টটি সিলাগালা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৮
টিটি/এএ