মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে বাগেরহাট অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আব্দুর সবুর মিয়া এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এ বছরের ১৫ জুন বাগেরহাট পৌরসভার হাড়িখালী এলাকার বিষ্ণুপদ পাল নামে এক ব্যক্তির দায়ের করা মামলায় এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, মামলা দায়েরের পরে আদালত জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখাকে (ডিবি) তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পায় ডিবি পুলিশ। এর ভিত্তিতে ২০১৭ সালের ২ নভেম্বর আদালত শিক্ষিকা শুকলা রানী ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। সে অনুযায়ী ২ জানুয়ারি অভিযুক্তদের আদালতে হাজির হওয়ার কথা ছিল। নির্ধারিত সময়ে তারা আদালতে হাজির না হওয়ায় বিচারক তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার বাদী বিষ্ণুপদ পাল বাংলানিউজকে বলেন, ২০১৪ সালের ৪ এপ্রিল আমাকে জাহানাবাদ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী পদে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শুকলা রানী চাকরি স্থায়ী করার কথা বলে আমার কাছে দুই লাখ ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। চাকরির আশায় জমি-জমা বিক্রি করে শুকলা রানীকে দুই লাখ ১০ হাজার দিলেও চাকরি দেননি তিনি। এরপর বার বার টাকা ফেরত চাইলেও না দেওয়ায় আদালতে মামলা করেছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৮
এসআই