ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ময়মনসিংহে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন প্রকল্প বেড়ে ১৯৫

এম আব্দুল্লাহ আল মামুন খান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০১৮
ময়মনসিংহে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন প্রকল্প বেড়ে ১৯৫

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহ সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মোট ৬৬টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করার কথা ছিলো। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে সেই সংখ্যা বেড়েছে। অতিরিক্ত আরও ৩৫টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

উদ্বোধনকৃত প্রকল্পের মতো ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনযোগ্য প্রকল্পের সংখ্যাও বেড়েছে। আরও ১২টি বেশি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

 

প্রধানমন্ত্রীর ময়মনসিংহ সফরের মাত্র একদিন আগে বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) চূড়ান্ত হয় উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনযোগ্য এসব প্রকল্প। বিষয়টি নিশ্চিত করে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার নুরুল আলম রিপন বাংলানিউজকে জানান, আগে উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন মিলিয়ে উন্নয়ন প্রকল্পের সংখ্যা ছিলো ১৪৮টি। এখন সেটি ১৯৫ এ গিয়ে ঠেকেছে। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন ১০১টি উন্নয়ন প্রকল্প আর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন ৯৪টি প্রকল্পের।  

ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় সূত্র জানায়, ময়মনসিংহ জেলায় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করার কথা ছিলো ২৮টি। পরবর্তীতে আরও তিনটি প্রকল্প বাড়ানো হয়েছে। এগুলো হচ্ছে-ময়মনসিংহ এফএম রেডিও উদ্বোধন, শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলা ময়মনসিংহ সদর এবং ত্রিশাল উপজেলা।  

নেত্রকোনা জেলাতেও বৃদ্ধি পাওয়া তিনটি উন্নয়ন প্রকল্প হচ্ছে-মোহনগঞ্জ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলা আটপাড়া ও খালিয়াজুড়ি।  

শেরপুর জেলার ১৬টি উন্নয়ন প্রকল্প এখন বেড়ে গিয়ে হয়েছে ৪৫টি। এগুলো হলো- নালিতাবাড়ি উপজেলা পরিষদ ভবন, নালিতাবাড়ি উপজেলায় ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু হাসপাতাল, একই উপজেলার রাজনগর এলাকায় কৃষক সেবাকেন্দ্র, বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান মডেল কলেজের ১০০ শয্যাবিশিষ্ট ছাত্রীনিবাস, একই উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ৮টি ডাগওয়েল নির্মাণ, তারাকান্দা রাবার ড্যাম, উরফা ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু হাসপাতাল, গণপদ্দী ইউনিয়নে এসইএসডিপি ভবন, নকলা-নালিতাবাড়ি ফোরলেন সড়ক, চন্দ্রকোণায় পুলিশ ফাঁড়ি, ধনাকুশা বিদ্যালয়ে চারতলা ভবন, বানেশ্বরদী দিশারী উচ্চ বিদ্যালয় ভবন, ডেবুয়াচার সোলারচালিত ডাগওয়েল, চন্দ্রকোণা থেকে ডোয়াতলা পর্যন্ত সড়ক, নকলা পৌরসভার শাহরিয়া মাদ্রাসায় শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব, চরমধুয়া সোলারচালিত ডাগওয়েল, স্থল বন্দর সংলগ্ন সড়ক, রূপনারায়ণকুড়া এইচএসডিপি স্কুল, রূপনারায়ণকুড়া নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয়, রূপনারায়ণকুড়া ধারা থেকে পাইকাতলী হয়ে কদমতলী পর্যন্ত ৯ কিলোমিটার সড়ক, যোগানিয়া ফ্লাড সেন্টার কাম স্কুল নিম্ন মাধ্যমিক ভবন, বালুঘাটা ব্রিজ, বালুঘাটা বাজার থেকে রসুলপুর বাজার পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার এলজিইডি সড়ক, পাগলাজানী ও দক্ষিণ নাকশির দুইটি প্রাইমারি স্কুলকে হাইস্কুলে রূপান্তর, বাঘবেড় রাবার ড্যাম, বাঘবেড় চেল্লাখালি নদী খনন, উত্তর রাণীগাঁও থেকে গাজীরখামার মেইন রোড পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার এলজিইডি সড়ক স্থাপন, নালিতাবাড়ি পৌর ভবন ও নাজমুল স্মৃতি কলেজের একাডেমিক ভবন নির্মাণ।  

ময়মনসিংহ বিভাগে প্রধানমন্ত্রীর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনযোগ্য প্রকল্পের সংখ্যা অটুট থাকলেও বেড়েছে ময়মনসিংহ জেলায় মাত্র একটি। সেটি হচ্ছে-নেপ ময়মনসিংহের ১৫ তলা ডরমিটরি কাম রেস্ট হাউজ ভবন নির্মাণ প্রকল্প।  

জামালপুর জেলায় ১৬টি প্রকল্পের স্থলে এখন ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনযোগ্য প্রকল্পের সংখ্যা ১৯টি। এগুলো হলো- বকশীগঞ্জ উপজেলার জব্বারগঞ্জ-দেওয়ানগঞ্জ ভায়া মাদারের চর সড়কে পুরাতন ব্রক্ষপুত্র নদের ওপর ৫৮৫ মিটার দীর্ঘ ব্রিজ, জামালপুর-চেচুয়া-মুক্তাগাছা মহাসড়ক প্রশস্তকরণ ও মজবুতিকরণ (ব্রক্ষপুত্র সেতু এপ্রোচসহ) প্রকল্প ও মেলান্দহ উপজেলায় ফ্যাশন ডিজাইন ইনস্টিটিউট।  

জামালপুরের মতো শেরপুর জেলাতেও প্রধানমন্ত্রীর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনযোগ্য প্রকল্পের সংখ্যা বেড়ে এখন হয়েছে ১৪টি। বৃদ্ধি পাওয়া আটটি উন্নয়ন প্রকল্প হলো-অষ্টমীতলা থেকে কানাসাখোলা প্রশস্তকরণ, মরিচপুরান টিটিসি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, চরমধুয়া মাদ্রাসার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, দুধেরচর ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু হাসপাতাল, সূর্যনগর কলসপাড় মাদ্রাসার ভিত্তিপ্রস্তর, নালিতাবাড়ি উপজেলা কমপ্লেক্স ও কৃষি প্রযুক্তি হস্তান্তর প্রকল্পের আওতায় কৃষি ভবন, শ্রীবরদী-ভায়াডাঙা-ঝিনাইগাতী সড়ক এবং নালিতাবাড়ী-বরুয়াজানি-বাঘাইতলা-হালুয়াঘাট সড়ক।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৮ 
এমএএএম/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।