ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘খুকুমনি’ হত্যাকাণ্ডে দোষীর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০১৮
‘খুকুমনি’ হত্যাকাণ্ডে দোষীর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি মানববন্ধনে বক্তারা তাদের দাবি তুলে ধরেন /ছবি- জি এম মুজিবুর

ঢাকা: যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় পদ্মার দুর্গম চরে গৃহবধূ খুকুমনি হত্যাকাণ্ডে ঘাতক স্বামী ইমান ব্যাপারীর সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি জানিয়েছে শরীয়তপুরের জাজিরার সচেতন নাগরিক সমাজ।

শুক্রবার (০২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে খুকুমনি হত্যার বিচারের দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এ দাবি জানান এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনরা।

মানববন্ধন থেকে জানা যায়, গত ২৪ অক্টোবর শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলাধীন পদ্মার দুর্গম বাবুর চর এলাকায় যৌতুকের টাকার জন্য এক সন্তানের মা খুকুমনিকে (২৫) নির্মমভাবে হত্যা করে ঘাতক স্বামী ইমান ব্যাপারী ও তার পরিবারের সদস্যরা।

 

খুকুমনির বাবা হারুন জমাদ্দার অভিযোগ করে ব‌লেন, স্বামী ইমান ব্যাপারী দীর্ঘ‌দিন ধরে যৌতু‌কের জন্য খুকুমনি‌কে মারধর কর‌তো। এরই ধারাবা‌হিকতায় ২৪ অ‌ক্টোবর সন্ধ্যায় লোহার দণ্ড দি‌য়ে তাকে পি‌টি‌য়ে হত্যা ক‌রে। হত্যার অ‌ভি‌যোগ এড়াতে মশার ক‌য়েল দি‌য়ে গলা পুড়ি‌য়ে দাগ বা‌নি‌য়ে আত্নহত্যা প্রমা‌ণের চেষ্টা ক‌রে।

নির্মম এ হত্যাকাণ্ড তাদের তিন বছ‌রের মেয়ে দে‌খে ফেলায় তা‌কেও মারধর করা হয় ব‌লেও অ‌ভি‌যোগ ক‌রেন তিনি।  

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এ ঘটনায় মামলা নেওয়া হলেও খুকুর পরিবার ও আমরা সচেতন শরীয়তপুরবাসী বিচার পাওয়ার অনিশ্চয়তার আশঙ্কা করছি। কেননা এর আগে শরীয়তপুরে ঘটে যাওয়া কোনো নারী নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার হয়নি। এই বিচারহীনতার সংস্কৃতি আমাদের শঙ্কিত করে। আমরাও কি ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হবো? তাছাড়া প্রথ‌মে এ হত্যাকাণ্ডের মামলা কর‌তে গে‌লে এক‌টি প্রভাবশালী মহ‌লের প্রভা‌বে এ মামলা নি‌তে গ‌ড়িমসি ক‌রে প্রশাসন।

এ সময় বক্তারা খুকুমনির হত্যাকারী ইমান ব্যাপারী ও তার দোসর‌দের বিচা‌রের আওতায় আনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কা‌ছে অনু‌রোধ ক‌রে‌ছেন।

মানববন্ধ‌নে আরও উপ‌স্থিত ছি‌লেন আ‌লোর পথ সংগঠ‌নের সমন্বয়কারী আ‌মিনুল ইসলাম রতন, সভাপ‌তি ফারুক আহ‌মেদ, ছাত্রলীগ নেতা সুমন ব্যাপারী ও জাজিরা এলাকাবাসী।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, নভেম্ববর ০২, ২০১৮
এমএএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।