ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

৭ বেগুনি কালেমসহ পাখিবিক্রেতা আটক

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০১৮
৭ বেগুনি কালেমসহ পাখিবিক্রেতা আটক জব্দ করা ৭ বেগুনি কালেম-ছবি: বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাখিসহ বিক্রেতাকে আটক করে সফলতা দেখালো মৌলভীবাজারের বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ।

বন্যপ্রাণিদের নিরাপত্তা ও সংরক্ষণ আইন থাকা সত্ত্বেও একশ্রেণির অসাধু মানুষ বন্যপ্রাণি শিকারের সঙ্গে জড়িত। বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের এমন অনুকরণীয় ঝটিকা অভিযানে বিপন্ন এ পাখিগুলো প্রাণে রক্ষা পায়।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার (২ নভেম্বর) বিকেলে এদের মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণি রেঞ্জে নিয়ে আসা হয়। সাতটি বেগুনি কালেমসহ এক পাখি বিক্রেতাকে আটক করেছে বন কর্তৃপক্ষ।

মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণি রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোনায়েম হোসেন, জুনিয়র ওয়াইল্ডলাইফ স্কাউট বুলবুল মোল্লা ও বনপ্রহরী সুব্রত সরকার ঘটনাস্থলে গিয়ে সাতটি কালেম পাখিসহ বিক্রেতা ধরণী চন্দ্র দেবকে (৫৭) আটক করে মৌলভীবাজার রেঞ্জ অফিসে নিয়ে আসে।

পাখি বিক্রেতা ধরণী চন্দ্র মৌলভীবাজার সদর থানার কাগাবলা ইউনিয়নের নড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা।

রেঞ্জ কর্মকর্তা মোনায়েম হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, পাখি সাতটি অফিসে জব্দ রেখেছি। শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তীতে জব্দ করা এসব পাখি হাওরে ছেড়ে দেওয়া হবে।

রেঞ্জ কর্মকর্তা আরও জানান, পাখিবিক্রেতা ধরণী তার দোষ স্বীকার করে ভবিষ্যতে আর পাখি বিক্রি করবেন না মর্মে অঙ্গীকারনামা দেওয়ায় জিম্মানামা রেখে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের প্রখ্যাত পাখি বিশেষজ্ঞ শরীফ খান বলেন, জলাভূমির পাখি বেগুনি কালেম। এ পাখির বৈশিষ্ট্য হলো- এরা সাহসী লড়াকু ও মারমুখো স্বভাবের। পোষ মানলে আর উড়ে যায় না। এই পাখিরা সব সময় যেমন সর্তক থাকে, তেমন যেন রেগেও থাকে। এরা দৈর্ঘ্যে ৪৫ সেন্টিমিটার এবং ওজনে প্রায় ৬৫০ গ্রাম। এই পাখিরা এক নজরে চকচকে নীলচে বেগুনে কপাল মাথাজোড়া আলতা রঙে দর্শনীয়। লালচে রঙের পা ও পায়ের লম্বাটে আঙুল।

তিনি আরও বলেন, এর ইংরেজি নাম Purple Swamphen এবং বৈজ্ঞানিক নাম Porphprio porphyrio। এদের মূল খাদ্য জলজ উদ্ভিদ, ব্যাঙের বাচ্চা ও ছোট মাছ। বাইক্কা বিলে, হাকালুকি, ঠাঙ্গুয়ার হাওরে এদের দেখা মেলে। ভালো সঙ্গী না মিললে এরা ডিম পাড়ে না।  

আবাসস্থল বিপর্যয়ের কারণে বাংলাদেশের কালেম পাখির সংখ্যা কমছে জানিয়ে শরীফ খান বলেন, এক সময় বিল হাওরে প্রচুর দেখা মিলত কালেম পাখির। এখন এরা কোণঠাসা অবস্থায় আছে হাওরাঞ্চলে। শিকারিদের বন্দুকের গুলি যদি পায়ে লাগে তবু কাবু হয় না। পা-মুখে কামড়ে ধরে উড়ে পালায়।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৯ ঘণ্টা, ৩ নভেম্বর, ২০১৮
বিবিবি/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।