সোমবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকে নিজের কার্যালয়ে এক অনানুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের জেনে, শুনে, বুঝে মন্তব্য করা উচিত। তবে সব মন্তব্যই ইতিবাচক হওয়াই ভালো।
গত ৮ নভেম্বর আয়কর বিভাগের দুর্নীতির উৎস চিহ্নিত করে তা প্রতিরোধে সুপারিশমালা তৈরি করে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে জমা দেয় দুদক। এরপর এনবিআর চেয়ারম্যান মন্তব্য করেন, ‘ভালো করে নিরপেক্ষ তদন্ত করলে দুদকেরও দুর্নীতি বেরুবে। ’
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দুর্নীতি দূর, কারণ বা উৎস অনুসন্ধান আমাদের কাজ নয়। কাউকে ধরে জেলে দেওয়াও আমাদের কাজ নয়। আমরা স্পাই (গোয়েন্দা) নই। এটা আপনার কাজ। আপনার দায়িত্ব। আপনি কী ব্যবস্থা নিয়েছেন, ‘টেল আস’ (আমাদের বলুন)। ’
তিনি বলেন, ‘সব কিছু স্বীকার করতে সাহস লাগে। ভিশন লাগে। আমরা চাই সবাই দুদকের দুর্নীতির উৎস খুঁজুক। চিহ্নিত করুক। আমরা প্রস্তুত। আমরা সব, সবার সমালোচনা ইতিবাচকভাবেই দেখি। ’
ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘আমরা সরকারের কাছে আমাদের অনুসন্ধান ও সুপারিশ করেছি। এটা আমলে নেওয়ার বিষয় সরকারের। এটা শতভাগ সঠিক নাও হতে পারে। আমরা আমাদের রিপোর্টের কোথাও কি লিখেছি যে আমরা এনবিআরে আমাদের অফিস বসাতে চাই? এটা নিয়ে হঠাৎ করা তার (মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া) মন্তব্য অত্যন্ত হাস্যকর। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৮
আরএম/এইচএ/
** হলফনামায় মিথ্যা তথ্যের মুখোশ উন্মোচন করবে দুদক