খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ১২০ নম্বরের মধ্যে ১১৪ দশমিক ৩০ নম্বর নিয়ে সম্মিলিত মেধা তালিকায় বাণিজ্য শাখা থেকে প্রথম হয়েছিলেন তিনি। যার মধ্যে বাংলায় পেয়েছেন ৩০ নম্বরের মধ্যে ৩০; আর ইংরেজিতে পেয়েছেন ৩০ নম্বরের মধ্যে ২৭ দশমিক ৩০।
‘ঘ’ ইউনিটের প্রশ্নফাঁসের বিষয় সামনে আসলে তখন এই শিক্ষার্থীরা ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় তিনি ফেল করেছিলেন ৩৪ দশমিক ৩২ নম্বর পেয়ে। যেখানে বাংলায় তিনি পেয়েছিলেন ৩০ নম্বরের মধ্যে ১০ দশমিক ৮; ইংরেজিতে ৩০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছিলেন ২ দশমিক ৪০।
ফলাফলের এই অস্বাভাবিকতা লক্ষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই শিক্ষার্থীকে নিয়ে তুমুল সমালোচনা করা হয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রশ্নফাঁস হওয়ার প্রমাণ পাওয়ায় পরবর্তীতে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। আগের অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় মেধা তালিকায় স্থান পাওয়া বাকিরা পুনঃভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিলেও অনুপস্থিত থেকেছেন জাহিদ।
এ বিষয়ে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বাংলানিউজকে বলেন, মেধা তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের পজিশন বেশি পরিবর্তন হয়নি। মানবিক ও বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের পজিশন কাছাকাছি আছে। কিন্তু বাণিজ্য বিভাগ থেকে প্রথম হওয়া শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেননি।
‘ঘ’ ইউনিটের প্রথম দফার পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ১৮ হাজার ৪৬৩ পরীক্ষার্থীর মধ্যে দ্বিতীয় দফায় ২ হাজার ২৮২ জন পরীক্ষায় অংশ নেননি।
এ বিষয়ে অধ্যাপক সাদেকা হালিম বাংলানিউজকে বলেন, সিআইডি থেকে আমাদের একটি তালিকা সরবরাহ করা হয়েছে। সেই তালিকার অধিকাংশই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেননি। যারা অংশগ্রহণ করেছেন তারা ফেল করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৮
এসকেবি/আরআর