মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) সকাল ১১টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বিভাগে ক্লাস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি।
ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, সেমিস্টারে পাস করার জন্য ন্যূনতম সিজিপিএ ২.৫০ থেকে কমিয়ে ২.০০ করাসহ ৮ দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৫, ৭৬ ও ৭৭ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা সকালে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন। এক পর্যায়ে প্রশাসনিক ভবনের মূল গেটে তালা লাগিয়ে দেন তারা।
পরে দুপুর একটায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কর্তৃপক্ষ আবারও বৈঠক করবে। পরে দুপুর একটার দিকে তালা খুলে দেন শিক্ষার্থীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৭৫ ব্যাচের আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী বলেন, ন্যায্য দাবি নিয়ে আমরা বেশ কয়েকবার কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়েছি কিন্তু তারা তা মেনে নিচ্ছেন না। এসব দাবি মানা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সেকেন্দার আলী বাংলানিউজকে বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তাদের দাবিগুলো যৌক্তিক হলে আমরা অবশ্যই মেনে নেবো। দাবি যৌক্তিক না হলে আমরা মানা হবে না।
শিক্ষার্থীদের অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে- কোর্স সংখ্যার ৬০ শতাংশ বিষয়ে পাস করলে পরবর্তী সেমিস্টারে উত্তীর্ণ করা, কোনো পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হলে মানোন্নয়ন (ইম্প্রুভ) পরীক্ষার বিধান রাখা এবং সেশন জট দূর করতে একটি বিষয়ে দু’টি ক্লাস পরীক্ষার বদলে একটি পরীক্ষা নেওয়ার বিধান রাখা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৮
এপি/এমএ