মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) সকালে উপজেলার সুন্দুলপুর ইউনিয়নের ভাগলপুর গ্রাম থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃত খালেদা ও সাঈদ চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার বাইছারা গ্রামের আবু বকরের স্ত্রী এবং ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, দুই বছর আগে খালেদাকে পরিবারের অমতে বিয়ে করেন বকর। পরে খালেদার পরিবার এ বিয়ে মেনে নিলেও বকরের পরিবার তাদের বিয়ে মেনে নেয়নি। এরপর বকর তার স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করতেন। তাদের সংসারে এক ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। এদিকে ব্যবসার জন্য স্থানীয় একটি এনজিও থেকে স্ত্রীর নামে ঋণ উত্তোলন করেন বকর। পরে ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে ছয় থেকে সাত মাস আগে দাউদকান্দির একটি বাসায় ভাড়া ওঠেন তারা। ঋণের টাকা নিয়ে প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো।
খালেদার পাশের রুমের ভাড়াটিয়া নাজমা আক্তার জানান, মঙ্গলবার সকালে খালেদার মা নাতির জন্য খাবার নিয়ে এলে বাসার ভেতর থেকে দরজা জানালা বন্ধ দেখে মেয়েকে ডাকাডাকি করতে থাকেন। এতে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করে। খবর পেয়ে দাউদকান্দির সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মহিদুল ইসলাম স্থানীয় চেয়ারম্যান মাসুদ আলমসহ এলাকাবাসী ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে মা এবং ছেলের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
নিহতের স্বজনদের ধারণা সোমবার (১৯ নভেম্বর) রাতের কোনো এক সময় শিশু সন্তানকে বিষপান করিয়ে হত্যার পর খালেদা নিজেও বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন।
নিহত খালেদা আক্তারের মা ফিরোজা বেগম জানান, মেয়ের নামে এনজিও থেকে ব্যবসার জন্য টাকা তুলেন আমার মেয়ে জামাই। পরে কিস্তি দিতে না পেরে মেয়েকে নিয়ে দাউদকান্দির একটি বাসায় ভাড়া ওঠেন তারা। আমার মেয়েকে দাউদকান্দি ভাড়া বাসায় রেখে মেয়ে জামাই কুমিল্লার চান্দিনার একটি জুট মিলে কাজ করেন। তবে কিস্তির টাকা নিয়ে প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো।
দাউদকান্দির সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, মা-ছেলে বিষপানে আত্মহত্যার ঘটনায় আমরা কিছু আলামত পেয়েছি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
তবে কি কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন তা তদন্তের পর জানা যাবে বলেও জানান পুলিশ সুপার মহিদুল।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৮
আরআইএস/