ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রাজনৈতিক নেতাদের হলফনামা যাচাইয়ের পরামর্শ সিপিডির

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৮
রাজনৈতিক নেতাদের হলফনামা যাচাইয়ের পরামর্শ সিপিডির সিপিডির গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠান

ঢাকা: রাজনৈতিক নেতাদের হলফনামার সত্যতা যাচাই করতে ব্যাংক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) এর সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

নির্বাচনের পরেও এসব হলফনামার আপডেট রাখার পরামর্শ দেন তিনি।  

বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে স্বল্পোন্নত দেশের প্রতিবেদন-২০১৮ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

দেবপ্রিয় বলেন, একটি দেশের প্রতিযোগিতামূলক অর্থনীতির জন্য একইরকম রাজনীতি দরকার। এর মাধ্যমে একটি বিনিয়োগ, উদ্যোক্তাবান্ধব সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। প্রতিযোগিতাপূর্ণ অর্থনীতির জন্য সু-শাসন থাকবে।

তিনি বলেন, এখন রাজনীতি একটা ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। ব্যবসায়ীরা রাজনীতিতে ঢুকছেন, সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক করছেন, কিন্তু দাবি আদায় করতে পারছেন না। তারা তাদের স্বার্থের জন্য রাজনীতিকে ব্যবহার করছেন। সরকারের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সম্পর্ক থাকার পরও ব্যাংকের অস্থিরতা, বন্দরের দুর্নিতি, রাজস্বে অনিয়ম, ব্যবসায়ী হয়রানির পরও কথা বলতে পারেন না। কারন রাজনীতে নিজের স্বার্থে ব্যবসায় পরিণত করছেন তারা।

তিনি আরও বলেন, আসন্ন নির্বাচনে রাজনৈতিক নেতাদের হলফনামার সত্যতা যাচাই করতে হবে ব্যাংক ও এনবিআরকে। একইসঙ্গে এসব হলফনামার কপি নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) দিতে হবে। নির্বাচনের পর ব্যাংক ও এনবিআরকে এসব হলফনামার আপডেট জানতে হবে। একটি স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল ও উন্নত রাষ্ট্রে যেতে হলে অবশ্যই এর স্বচ্ছতা জরুরি।

সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল বা উন্নত দেশে যেতে হলে প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসা, সু-শাসন, নারী উদ্যোক্তার হার বাড়াতে হবে। এজন্য অর্থনৈতিক ফান্ড প্রয়োজন, লাইসেন্স, রেজিস্ট্রেশন, টেন্ডারের দুর্নীতি রোধ করতে হবে। তাছাড়া সামগ্রিকভাবে উদ্যোক্তা তৈরির যে প্রস্তুতি দরকার তার বিকাশে যে পরিবেশ দরকার সেটা করতে হবে সরকারকে। একইসঙ্গে বায়ার ও অর্থদাতাদের একচেটিয়া আধিপত্য কমাতে হবে।

তিনি বলেন, সাবসিডিয়ারি দেয়ার ক্ষেত্রে শুধু বড় উদ্যোক্তাদের দিলে হবে না। সবাইকে সমান সুযোগ দিতে হবে, না হলে ছোট-বড় ব্যবসায়ী থাকবে কিন্তু মাঝারি ব্যবসায়ীর অস্তিত্ব থাকবে না। উদ্যোক্তাদের উন্নায়নে দেয়া সব সাবসিডিয়ারির তদারকি করতে হবে, খোঁজ নিতে হবে বিনিয়োগ বিষয়ে।

তিনি আরও বলেন, শিল্পের বিকাশে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। শুধু শিল্পনীতি নিলে খাতভিত্তিক বিভিন্ন শিল্পের বিষয় থাকে না। তাই খাত ভিত্তিক, উদ্যোক্তা ভিত্তিক নীতিমালা দরকার।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিপিডির সিনিয়র ফেলো ড. মুস্তাফিজুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৮
ইএআর​/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।