ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আ’লীগ নেতা ফারুক হত্যা মামলা, আরো ৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৮
আ’লীগ নেতা ফারুক হত্যা মামলা, আরো ৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আদালতে আনা হয় এমপি রানাকে। ছবি: বাংলানিউজ

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলায় আরো তিনজনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এ হত্যা মামলার প্রধান আসামি টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সরকার দলীয় এমপি আমানুর রহমান খান রানার উপস্থিতিতে এ সাক্ষ্য গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। 

বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে এ হত্যা মামলার প্রধান আসামি এমপি রানাকে কাশিমপুর কারাগার থেকে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আনা হয়। পরে ১১টা ১৫ মিনিটে বিচারক মাকসুদা খানম এ চাঞ্চল্যকর মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু করেন।

সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক আগামী ৩১ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য করেন।

আদালতের পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, সুরুজ্জামান ও মির্জা রানা সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য হাজিরা দেন এবং তাদের সাক্ষ্য শেষ করে। পরে মামলার বিবাদী পক্ষের আইনজীবীরা দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে এই তিনজন সাক্ষীর জেরা সমাপ্ত করেন। এ তিন সাক্ষীসহ এ পর্যন্ত এ মামলার মোট ১১জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হলো।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ২২ মাস পলাতক থাকার পর এমপি রানা ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর এ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বেশ কয়েক দফা উচ্চ আদালত ও নিন্ম আদালতে আবেদন করেও জামিন পাননি তিনি।  

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে এই হত্যায় এমপি রানা ও তার ভাইদের জাড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে। ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। এ মামলায় এমপি রানা ছাড়াও তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪ জন আসামি রয়েছে। গত বছর ৬ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচার কাজ শুরু হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৮
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।