ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

চৌগাছায় প্রবাসীর স্ত্রী হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৮
চৌগাছায় প্রবাসীর স্ত্রী হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন হত্যাকাণ্ডের অন্যতম পরিকল্পনাকারী শরিফুল ইসলাম

যশোর: যশোরের চৌগাছায় মালয়েশিয়া প্রবাসীর স্ত্রী তাসলিমা হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে এ হত্যাকাণ্ডের অন্যতম পরিকল্পনাকারী শরিফুল ইসলামের আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে পুরো ঘটনা উল্লেখ করেন।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) রাতে চৌগাছার মাদেখানপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ওই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে শরিফুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ।

শুক্রবার বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম কুমার মণ্ডলের কাছে আসামি শরিফুল হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, শার্শার টেংরালিগ্রামের আব্দুল বাজের মেয়ে ও একই উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী তাসলিমার সাঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী চৌগাছা উপজেলার বাদেখানপুর গ্রামের মহব্বত আলীর ছেলে মমিনুর রহমানের পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।  


দীর্ঘদিনের সম্পর্ক চলাকালে তাছলিমা একাধিকবার মমিনুরের বাড়িতে বেড়াতে যান। তবে কোনোভাবেই মমিনুর বিয়ে করতে রাজি হচ্ছিলেন না। এজন্যই মমিনুরের গ্রামেই শরিফুল ইসলামকে ঘটক ধরেন তাছলিমা। তাছলিমা স্বামীর বিদেশ থেকে পাঠানো প্রায় ছয় লাখ টাকাও পরকীয়া প্রেমিক মমিনুরকে দেন।

জবানবন্দিতে শরিফুল আরও জানান, বিয়ের কাজে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বিভিন্ন সময় তাসলিমার কাছ থেকে টাকাও নিয়েছেন তিনি। কোনোভাবেই প্রেমিক মমিনুরকে রাজি করাতে না পেরে রক্ষা পেতে হত্যার পরিকল্পনা করেন। একপর্যায় ১৭ নভেম্বর তাছলিমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ডেকে এনে মমিনুর, শরিফুলসহ চারজন মিলে ১৮ নভেম্বর রাতে শ্বাসরোধ করে হত্যার পরে মরদেহ ধানক্ষেতে ফেলে দেন।  

পরে মরদেহটি বেওয়ারিশ হিসেবে উদ্ধার করা হলেও একই জায়গা থেকে উদ্ধার হওয়া ভ্যানিটিব্যাগে থাকা মোবাইলের কললিস্টের সূত্র ধরে মরদেহের পরিচয় মেলে এবং হত্যাকারীদের ব্যাপারে নিশ্চিত হয় পুলিশ।

চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিফাত খান রাজীব বাংলানিউজকে বলেন, মরদেহ উদ্ধার থেকে এ পর্যন্ত সার্বক্ষণিক এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নানাভাবে নির্দেশনা দিয়েছি, নিজেও সজাগ থেকেছি। তবে শরিফুল আটক হয়ে তার দেওয়া জবানবন্দিতে সবকিছু পরিষ্কার হলো। বাকি তিন আসামিকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।  

বাংলাদেশ সময়: ০৬৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৮
ইউজি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।