দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে ওই তিন রোগী। এদের মধ্যে একজন শিশু, একজন কিশোর ও একজন বৃদ্ধ রয়েছেন।
শনিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে এ বিষয়ে জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকদের সঙ্গে আলাপ করলে জানা যায়, আনুমানিক প্রায় চার মাস আগে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে ১১ বছর বয়সী বাকপ্রতিবন্ধী এক শিশুকে গুরুতর আহত অবস্থায় কে বা কারা ফেলে রেখে যায়। এসময় তার সারা শরীরে মারাত্মক জখম ছিলো।
পরে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয় তাকে। এখনো পুরোপুরি সুস্থ না হলেও অনেকটাই স্বাভাবিক ওই শিশু। তবে স্পষ্টভাবে কোনো কথা না বলতে পারায় তার স্বজনদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করা সম্ভব হচ্ছে না।
এর একদিন পরেই আনুমানিক ১৪ বছর বয়সী এক কিশোর গুরুতর জখম নিয়ে আসে জরুরি বিভাগে। এরপর তাকেও ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা দেওয়া হয়। মানসিক প্রতিবন্ধী ওই কিশোরও পরিবারের কোনো স্বজনদের নাম-ঠিকানা বলতে পারছে না।
চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে আনুমানিক ৬৫ বছর বয়সী আরেক বৃদ্ধকে জরুরি বিভাগে রেখে পালিয়ে যায় তার স্বজনরা। তাকেও জরুরি বিভাগের চিকিৎসা শেষে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়। কিন্তু তিনিও নাম-ঠিকানা বলতে না পারায় তাকে হস্তান্তরের কোনো ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালের ছয় তলার রুম ও বারান্দায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় দেখা যায় ওই রোগীদের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের চিকিৎসা ও খাবারের ব্যবস্থা করলেও বিপাকে রয়েছে তাদের হস্তান্তর করার বিষয়টি নিয়ে। বিষয়টি প্রশাসনকে জানালেও তেমন কোনো সাড়া না পাওয়ায় বেশ হতাশ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
জেলা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক লুৎফর রহমান জানান, ১১ বছরের বাকপ্রতিবন্ধী শিশুটির শারীরিক অবস্থা বেশ গুরুতর ছিলো। সমাজসেবা অধিদফতরের সহায়তায় তার সিটিস্ক্যান করানো হয়েছে। এখন অনেকটাই স্বাভাবিক ওই শিশু। হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের সহায়তায় ওই শিশুসহ মোট তিনজনের চিকিৎসাসেবা চলছে। এখন অনেকটাই সুস্থ তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৮
কেএসএইচ/আরবি/