ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ঈশ্বরদীতে জানাজা শেষে ফের ঢাকায় পাইলট দিপুর মরদেহ

উপজেলা করসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৮
ঈশ্বরদীতে জানাজা শেষে ফের ঢাকায় পাইলট দিপুর মরদেহ প্লেন দুর্ঘটনায় নিহত উইং কমান্ডার আরিফ আহমেদ দিপুর নামাজে জানাজা। ছবি: বাংলানিউজ

ঈশ্বরদী (পাবনা): বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে নিহত পাইলট উইং কমান্ডার আরিফ আহমেদ দিপুর প্রথম নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে তার গ্রামের বাড়ি পাবনার ঈশ্বরদীতে। 

শনিবার (২৪ নভেম্ব) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সম্পন্ন হয় জানাজা। এতে অংশ নেন দিপুর স্বজন, শুভানুধ্যায়ীসহ এলাকাবাসী।



এর আগে দিপুর কফিন নিয়ে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এমআই -৭০ এমই ৪৬৫ নম্বর হেলিকপ্টার ঈশ্বরদীর আলহাজ্ব মিলস উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অবতরণ করে।  

পাবনার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতিতে দিপুর চাচাতো ভাই আব্দুল লতিফের কাছে তার মরদেহ হস্তান্তর করেন বিমান বাহিনীর এয়ার কমোডর মোহাম্মদ ইউসুফ আহম্মেদ ও উইং কমান্ডার তৌহিদুল ইসলাম।  

দিপুর প্রতিবেশী ও ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মকলেছুর রহমান মিন্টু বাংলানিউজকে বলেন, আমরা শুধু দেশের একজন পাইলটকে হারাইনি, হারিয়েছি ঈশ্বরদীর এক গর্বিত তরুণ দেশপ্রেমিককে। এ ক্ষতি কখনো পূরণ হওয়ার না।

দিপুর সহকর্মী উইং কমান্ডার তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ বাংলানিউজকে বলেন, দিপু শুধু আমার ব্যাচমেটই ছিলেন না, আমরা দু’জনে একই মহল্লার একইসঙ্গে কর্মস্থলে যোগদান করেছিলাম।  

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দীন ফারুকী বাংলানিউজকে জানান, পাইলট দিপুর কফিনবাহী হেলিকপ্টারটি বিদ্যালয় মাঠে অবতরণের পর অ্যাম্বুলেন্সে করে তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।  

দিপুর ভগ্নিপতি আক্তারুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, রাষ্ট্রীয় বিধি অনুযায়ী বিমান বাহিনীর প্লেন দুর্ঘটনায় নিহত সদস্যদের নির্ধারিত স্থানে দাফন করা হয়। সেই নিয়মানুসারে ঢাকায় বিমান বাহিনীর সদর দফতরে বিকেলে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে দিপুকে দাফন করা হবে।  

দিপুর জানাজায় উপস্থিত ছিলেন- পাবনার জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন, পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম, পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ, গৌতম কুমার, জহুরুল হক, ঈশ্বরদী উপজেলা চেয়ারম্যান মকলেছুর রহমান মিন্টু, ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহম্মেদ হোসেন ভূঁইয়াসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এদিকে দিপুর কফিন নিয়ে হেলিকপ্টারটি বিদ্যালয় মাঠে পৌঁছালে স্বজনদের কান্নায় পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে।  

নিজ গ্রামের বাড়িতে প্রথম নামাজে জানাজা শেষে ফের দুপুর পৌনে ১টায় হেলিকপ্টারটি তার মরদেহ নিয়ে ঢাকা সামরিক হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেয়। সেখান থেকে বিমান বাহিনীর হেডকোয়ার্টারে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে বিকেলে তাকে দাফন করা হবে।

শুক্রবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার রসুলপুরে বিমান বাহিনীর ফায়ারিং রেঞ্জে প্রশিক্ষণ প্লেনটি বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণ হারান আরিফ আহমেদ দিপু।   

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৮ 
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।