শনিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে বিমানবন্দর রেলস্টেশন এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
র্যাব-২ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন ফারুকী বাংলানিউজকে বলেন, এনামুল কোরিয়ায় বসে দেশের বিভিন্ন অনলাইন নিউজপোর্টালের ২২টি নকল সাইট পরিচালনা করতেন।
এর আগে দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তপন চন্দ্র সাহা বাংলানিউজকে বলেন, আমরা জানতে পেয়েছি, র্যাবের একটি দল বিমানবন্দর রেলস্টেশন এলাকা থেকে এনামুলকে আটক করেছে। আমরা তার পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানিয়েছি।
এনামুলের বড় ভাই কামরুজ্জামান মাসুদ জানান, দুপুরের দিকে দক্ষিণখান থানা থেকে জানানো হয়, এনামুলকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার (২১ নভেম্বর) রাতে আশকোনার একটি বাসা থেকে বিমানবন্দরের উদ্দেশে বের হওয়ার পর তার আর কোনো খোঁজ মেলেনি। এনামুলের দক্ষিণ কোরিয়ায় যাওয়ার কথা ছিলো।
এনামুলের গ্রামের বাড়ি পাবনায়। তার বাবার নাম ফজলুল হক। এক ছেলের বাবা এনামুল বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা শেষ করে বৃত্তি নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার কিওংপুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (কেএনইউ) পিএইচডি করছেন।
পরিবার ও স্বজনরা জানান, গত ২২ অক্টোবর এক মাসের ছুটিতে বাংলাদেশে আসেন এনামুল। গত বুধবার রাত ১টার দিকে তার কোরিয়া যাওয়ার কথা ছিলো। বুধবার সকালে শ্বশুরবাড়ি টাঙ্গাইল থেকে ঢাকায় এসে আশকোনায় এক বন্ধুর বাসায় ওঠেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে বন্ধুর বাসা থেকে বেরিয়ে রিকশায় করে বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওয়ানা হন। রাত ১১টা পর্যন্ত মোবাইলে বন্ধুদের সঙ্গে তার কথা হয়। কিন্তু ১১টার পরে মোবাইল ফোন বন্ধ পেলে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
পরদিন বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ‘অপহরণকারী’ পরিচয়ে ফোন আসে স্বজনদের কাছে। শুক্রবার ভোর ৬টার মধ্যে দেড় লাখ টাকা দাবি করা হয়। তার পরিবার কথিত অপহরণকারীদের দেয়া নম্বরে এক লাখ টাকা পাঠিয়েও তাকে ফেরত পায়নি। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) রাতে পরিবারের পক্ষ থেকে দক্ষিণখান থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৮
পিএম/আরবি/