ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সড়ক বা বাসাবাড়ির তুলনায় কর্মক্ষেত্রে নারীরা বেশি নিরাপদ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৮
সড়ক বা বাসাবাড়ির তুলনায় কর্মক্ষেত্রে নারীরা বেশি নিরাপদ আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে সেমিনারে বক্তারা-ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা: সড়কে চলাচল বা বাসাবাড়ির তুলনায় নারীদের কাছে কর্মক্ষেত্র বেশি নিরাপদ বলে মনে করেন এ ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞরা।

সোমবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে নেদারল্যান্ডস ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এসএনভি) আয়োজন করে 'কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রতি সহিংসতার অবসান' শীর্ষক সেমিনার। সেখানেই বক্তারা নারীদের কাছে কর্মক্ষেত্র বেশি নিরাপদ বলে মন্তব্য করেন।

সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি অ্যানি ভেস্টজেনস, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিল্স) এর নাজমা ইয়াসমীন, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক ড. নাজনীন আক্তার, ওয়ার্কিং উইথ ওম্যান প্রজেক্টের টিম লিডার ফারতীবা খান, সরকারি প্রতিনিধি ড. আবুল হোসাইন (মখা), বাংলাদেশ মহিলা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাসিমুল আরা হক খান মিনু, শাহ ডনিমস লিমিটেডের বোর্ড অব ডিরেক্টর নিশাত নাহরীন হামিদ প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক আবু হেনা মুহিব।

আয়োজনে নেদারল্যান্ড দূতাবাসের ফাস্ট সেক্রেটারি অ্যানি ভেস্টেজেনস বলেন, নেদারল্যান্ডস বাংলাদেশের নারী শ্রমিকের জীবনমান উন্নয়ন এবং কর্মক্ষেত্রে নারীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরির জন্য কাজ করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।

নারী সাংবাদিক নাসিমুন আরা মিনু বলেন, নারীর অধিকার আদায় এবং উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে পোশাক শিল্পের নারী শ্রমিকরা। দেশের উন্নয়নে রাজনীতির অবদান অবশ্যয় অনস্বীকার্য, কিন্তু দেশের অর্থনীতির উন্নয়নের চাকা ঘুরিয়েছে পোশাক শিল্পের নারীরা। তবে অনেক কর্মক্ষেত্রে নারীরা সহিংসতার স্বীকার হন। নারীদের জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ সবাই মিলেই তৈরি করতে হবে। এজন্য বেসরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি সরকারকেও এগিয়ে আসতে হবে।

অধ্যাপক ড. নাজনীন আক্তার বলেন, আমাদের দেশের নারীদের যে পরিমাণ পেছনে থাকার কথা ছিল, তারা এখন ঠিক ততটাই সামনে এগিয়ে গেছে। এর কারণ হিসেবে ঢাকার কিছু কর্মক্ষেত্র অবশ্যই বড় ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু এখন যেন সেটা কমে যাচ্ছে। এ বিষয়টি নিরুপনের জন্য গার্মেন্টেস সেক্টরে অত্যধিক শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর প্রবেশ জরুরি। সেখান থেকেই আমাদের সুন্দরভাবে সুষ্ঠু পরিবেশের কথা নিশ্চিত করতে হবে।
বক্তারা পোশাক শিল্প কর্মীদের কর্মক্ষেত্রে আরও বেশি নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতকরণের জন্য সরকারি বিভিন্ন মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তারা বলেন, যেহেতু বাংলাদেশে প্রায় ৪০ লাখ নারী পোশাক শিল্পে কর্মরত আছে, তাই এই সেক্টরের নারীর প্রতি সহিংসতা দূর হলে নারীদের অংশগ্রহণ আরও বৃদ্ধি পাবে এবং নারীরা অর্থনৈতিক উন্নয়নে জোরালো ভূমিকা রাখবে।

নেদারল্যান্ডস ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন হলো নেদারল্যান্ডসভিত্তিক একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা যা ২০০৬ সাল থেকে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। সংস্থাটি নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের আর্থিক সহায়তায় বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে নিয়োজিত কর্মীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ক সেবা ও পরামর্শ প্রদান এবং তাদের অধিকতর সমৃদ্ধির জন্য ‘ওয়ার্কিং ইউথ ওমেন’ প্রকল্পে ২০১৪ সাল থেকে কাজ করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৮
এইচএমএস/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।