ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ঢাকার প্রথম মেয়র হানিফের দ্বাদশ মৃত্যুবার্ষিকী বুধবার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৮
ঢাকার প্রথম মেয়র হানিফের দ্বাদশ মৃত্যুবার্ষিকী বুধবার মেয়র হানিফ

ঢাকা: অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র মোহাম্মদ হানিফের দ্বাদশ মৃত্যুবার্ষিকী বুধবার (২৭ নভেম্বর)। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের বাবা ২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর পরলোক গমন করেন।

মেয়র হানিফের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ডিএসসিসির পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে ডিএসসিসি। মেয়র হানিফ ১৯৪৪ সালের ১ এপ্রিল ঢাকার সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

তিনি ২০০৪ সালে বর্বরচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত হন। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর রাতে ৬২ বছর বয়সে ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

মোহাম্মদ হানিফ ছাত্রাবস্থায় ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী হিসেবে রাজনীতি শুরু করে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। ১৯৬৫ সালে বঙ্গবন্ধুর একান্ত সচিবের দায়িত্ব পান। এসময় ছয়দফা মুক্তি সনদ প্রণয়ন ও প্রচারে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান ও মুক্তিযুদ্ধে তার বলিষ্ঠ ভূমিকা ছিল। তিনি ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ছেড়ে দেয়া ঢাকা-১২ আসন থেকে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর হুইপের দায়িত্ব পালন করেন। ’৭৬ সালে তিনি ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৯৬ এর মার্চের শেষ সপ্তাহে স্বৈরাচার বিরোধী গণআন্দোলনে মোহাম্মদ হানিফ তার বলিষ্ঠ ও গতিশীল নেতৃত্বে ‘জনতার মঞ্চ’ তৈরি করেন, যা তৎকালীন বিএনপি সরকারের পতন সহ আওয়ামী লীগের রাজনীতির জন্য টানিং পয়েন্ট তৈরি করে। ফলশ্রুতিতে ’৯৬-এর ১২ জুন দেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্ঠি করে এবং মোহাম্মদ হানিফের প্রাণপ্রিয় সংগঠন আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে।

আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশের ট্রাক মঞ্চে শেখ হাসিনার ওপর বর্বর ও ঘৃণ্যতম গ্রেনেড হামলার সময় নিজের জীবন তুচ্ছ করে মানবঢাল রচনা করে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে রক্ষা করেন মোহাম্মদ হানিফ। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রাণে রক্ষা পেলেও তিনি মস্তিস্কসহ দেহের বিভিন্ন অংশে অসংখ্য স্প্লিন্টারের আঘাতে গুরুতরভাবে আহত হন। ২০০৬ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মুক্তাঙ্গণে এক সমাবেশে বক্তৃতা দেয়ার সময় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। মাথায় বিদ্ধ স্প্লিন্টার প্রতিক্রিয়ায় পরবর্তী সময়ে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে এবং ২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর রাতে অ্যাপোলো হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন।

তার একমাত্র পুত্র ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন পিতার মৃত্যুবার্ষিকীতে তার রুহের মাগফিরাত কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেছেন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও  আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন সমূহ, মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন, মেয়র মোহাম্মদ হানিফ স্মৃতি সংসদসহ বিভিন্ন সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় আজিমপুর কবরস্থানে কবর জিয়ারত ও দোয়া মাহফিল, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, দুপুর ১২টায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নগর ভবনে স্বরণ সভা ও দোয়া মাহফিল। এছাড়া ২৭ নভেম্বর হতে ২ সপ্তাহ ব্যাপী মেয়র হানিফ স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন (বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান) ইত্যাদি ।

এছাড়াও বিকেল ৪টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজন করেছে স্বরণসভা ও দোয়া মাহফিল। এতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত থাকবেন।

বাংলাদেশ সময়: ০০৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৮
এসএম/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।