ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নিরাপদ পানি পেতে দরকার সরকারি-বেসরকারি খাতের সমন্বয়

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৮
নিরাপদ পানি পেতে দরকার সরকারি-বেসরকারি খাতের সমন্বয় গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা-ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা: সরকারি এবং বেসরকারি খাত মিলে একসঙ্গে কাজ  করলে ২০২১ সালের মধ্যে দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন সুবিধা পাবে। এতে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।

বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর)  রাজধানীর একটি হোটেলে নগরায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে নিরাপদ পানি সরবরাহে বেসরকারি খাতের চ্যালেঞ্জ নিয়ে ‘এসডিজি ৬ মাল্টিসেক্টরাল ডায়লগ অন সেইফ ওয়াটার’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে একথা বলেন বক্তারা।
 
ইউনিলিভারের পানি বিশুদ্ধকরণ ব্র্যান্ড পিউরইট এবং ইউএনডিপি যৌথভাবে এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।


 
সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, এনজিও এবং আইএনজিওগুলো বাংলাদেশে নিরাপদ পানি নিয়ে কি ধরনের কাজ করছে এবং আগামীতে কি ধরনের কাজ করা প্রয়োজন- এ সম্পর্কে বক্তারা মতামত বৈঠকে তুলে ধরেন।
 
বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান। এসময় তিনি বলেন, নিরাপদ পানি নিশ্চিতে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে এগিয়ে আসতে হবে।
 
তিনি আরও বলেন, ‘নিরাপদ পানিসহ প্রতিটি খাতেই সরকারি-বেসরকারি খাতের গভীর সমন্বয় প্রয়োজন, একসঙ্গে কাজ করলে ২০২১ সাল নাগাদ সবার জন্য নিরাপদ পানি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
 
দেশের জলবায়ু ও ভৌগলিক পরিবেশ বিবেচনায় রেখে পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নে সরকারের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বেসরকারি সংস্থাগুলোকেও কাজ করতে হবে। এতে ২০২১ সালের মধ্যে দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন সুবিধা পাবে।
 
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা ওয়াসার এমডি তাকসিম এ. খান বলেন, ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় বাংলাদেশে নিরাপদ পানির চাহিদা অনেক বেশি। শুধু রাজধানী ঢাকার প্রায় এক কোটি ৭০ লাখ মানুষের জন্য নিরাপদ পানি সুনিশ্চিত করাই বড় চ্যালেঞ্জ।
 
তিনি আরও বলেন, ঢাকাসহ সারাদেশের মানুষের জন্য নিরাপদ পানি সরবরাহ করার মতো এতবড় একটি কাজ শুধু সরকারের একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। এজন্য বেসরকারি খাতগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে। ঢাকা ওয়াসা ইতোমধ্যে নানা প্রকল্প বাস্তবায়নে বেসরকারি খাতের সঙ্গে কাজ করছে।  

আগামীতে বেসরকারি খাতকে আরও বেশি সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।  
 
ইউএনডিপি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মুখার্জী বলেন, দেশের ৯৭ শতাংশ মানুষ পানির সুবিধা পেলেও এর মধ্যে নিরাপদ পানি পাচ্ছে মাত্র ৪০ শতাংশ। সবার জন্য নিরাপদ পানি নিশ্চিত করতে বড় বিনিয়োগ এবং সময় দু’টোই প্রয়োজন। এক্ষেত্রে বেসরকারি খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
 
তিনি আরও বলেন, ইউএনডিপি বেসরকারি খাতের বিভিন্ন কার্যক্রমকে প্রযুক্তিগত পরামর্শ, ভবিষ্যৎ ফলাফল সম্পর্কে ধারণা প্রদান এবং সমন্বিত ব্যবসায়ের পরিকল্পনার বিষয়ে সহায়তা করছে। আর এ খাত সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিন্ন একটি প্ল্যাটফরমে সবাইকে যুক্ত করার উদ্দেশ্যেই আজকের এ আয়োজন। নিরাপদ পানিতে বিনিয়োগে শুধু সবার উপকার হবে তাই নয়, বরং বিনিয়োগকারীরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবানও হতে পারবেন।

ইউনিলিভার বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কেদার লেলে বলেন, বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের ২৬তম বৃহৎ অর্থনৈতিক অঞ্চলে পরিণত হবে। সামনের বছরগুলোতে বিনিয়োগের পাশাপাশি এখানকার মানুষদের স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে ব্যবসায়ীদেরই ভাবতে হবে।

এছাড়া কোকাকোলার কান্ট্রি পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড কমিউনিকেশনস অফিসার শামিমা আক্তার; পিডব্লিউসি’র অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর সন্দিপ কোটা; বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র অ্যাডভাইসর জাভেদ বিন করিম এবং ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের মার্কেটিং ডিরেক্টর তানজিন ফেরদৌস আলম উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ০০২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৮
এসই/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।