ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বদলে যাচ্ছে গুলশান-বনানী-মানিক মিয়া সড়কের চিত্র

শাহজাহান মোল্লা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০১৮
বদলে যাচ্ছে গুলশান-বনানী-মানিক মিয়া সড়কের চিত্র রাজধানীর সড়কে এলইডি বাতি। ফাইল ফটো

ঢাকা: পুরনো নিয়নবাতি বদলে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বসছে এলইডি বাতি। চলতি ডিসেম্বর মাসেই জার্মানির ভালকান কোম্পানির অত্যাধুনিক এলইডি বাতি রাজধানীর গুলশান-বনানী-বারিধারা এলাকার সড়কে বসানো হবে। এসব এলাকার রাতের চিত্র যাবে পাল্টে।

যদিও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অধিকাংশ এলাকাই বেশ কিছুদিন ধরেই এলইডি বাতিতে আলোকিত হচ্ছে। উত্তর সিটি কর্পোরেশনেরও উত্তরা এবং বাণিজ্যমেলার সামনের সড়কে এলইডি বাতি স্থাপন করা হয়েছে।

এতদিন পুরনো নিয়নবাতির কারণে অনেক সময় বাতির নিচেই অন্ধকার দেখাতো। অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে চুরি-ছিনতাইসহ নানা দুর্ঘটনা ঘটাতো দুর্বৃত্তরা। তাই প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক মেয়রের দায়িত্বে থাকাকালেই রাজধানীকে আলো ঝলমলে করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। পরে তার অকালপ্রয়াণে কাজের গতি কিছুটা ধীর হয়ে যায়। অবশেষে সীমিত আকারে গুরুত্বপূর্ণ সড়কে এলইডি বাতি স্থাপনের মাধ্যমে অন্ধকার দূর করে আলোর ঝলকানি দেখাতে যাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। তবে এখনই ডিএনসিসির সব ওয়ার্ডে জ্বলবে না এলইডি বাতি। সব ওয়ার্ডের জন্য অপেক্ষা করতে হবে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।

জার্মানির ভালকান কোম্পানির নরডন গ্রুপের অত্যাধুনিক এলইডি বসছে ডিএনসিসির ১, ৩ ও ৫ নং অঞ্চলে। মোট ৩ হাজার ৩৪৩ টি বাতি আনা হচ্ছে। প্রতিটি এলইডি বাতির খরচ পড়বে ৪৭ হাজার টাকা। সেনাকল্যাণ সংস্থার মাধ্যমে এই বাতি আনা হচ্ছে। প্রতিটি বাতি দশ বছরের ওয়ারেন্টি নিশ্চিত করা হয়েছে। কোন বাতির আলো ৭০ শতাংশে নেমে এলে সেটা পরিবর্তন করার কথা থাকছে চুক্তিতে। পুরো প্রকল্প বাস্তবায়নে খরচ হচ্ছে ২৫ কোটি টাকা।

যেসব এলাকায় বসছে এলইডি বাতি
সার্ক ফোয়ারা থেকে শুরু হয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে দিয়ে জাহাঙ্গীর গেট হয়ে মহাখালী, সেখান থেকে স্টাফ কোয়ার্টর। অন্যদিকে প্রগতি সরণির আবুল হোটেল থেকে শুরু হয়ে যমুনা ফিউচার পার্ক পর্যন্ত। এদিকে বিজয় সরণি ঘুরে খেজুরবাগান হয়ে সংসদের দক্ষিণে মানিক মিয়া এভিনিউ এলাকায় বসানো হবে এলইডি বাতি। অন্যদিকে নতুন বাজার থেকে শুরু করে কাকলী পর্যন্ত রাস্তা এবং পাকিস্তান দূতাবাস থেকে শুরু করে সুইমিংপুল পর্যন্ত সড়কে বসবে এলইডি বাতি।

উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকার উত্তরা এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সামনের রাস্তায় এরইমধ্যে এলইডি বাতি বসানো হয়েছে। পুরো শহরের এলইডি বাতি ডিএনসিসি কন্ট্রোল রুম থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

এ বিষয়ে ডিএনসিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের বাতিগুলো বন্দরে চলে এসেছে। আমরা চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে অথবা আগামী সপ্তাহে প্রকল্প এলাকায় এলইডি বাতি স্থাপনের কাজ শুরু করে দেব। ফলে অল্পসময়ে কূটনৈতিক এলাকা ও সার্ক ফোয়ারা সড়কের চিত্র পাল্টে যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৮
এসএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।