ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নদীপথে নাব্যতা বজায় রাখতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০১৮
নদীপথে নাব্যতা বজায় রাখতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন বরিশাল নদীবন্দর ভবনের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন

বরিশাল: বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ড্রেজিং বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া বলেছেন, আসন্ন শুষ্ক মৌসুমে নৌ-পথগুলোকে সচল রাখতে। এজন্য সরকারের উদ্যোগের পাশাপাশি সবার সহযোগিতাও প্রয়োজন।

বরিশালের নদীপথে নাব্যতা বজায় রাখতে ড্রেজিংয়ের পয়েন্টগুলো সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত এবং সুষ্ঠুভাবে কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য বুধবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে বরিশাল নদীবন্দর ভবনের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা চাই নৌ-পথগুলোকে সচল রাখতে।

এজন্য সরকারের উদ্যোগের পাশাপাশি সবার সহযোগিতাও প্রয়োজন। জনবলের উন্নয়ন না ঘটলেও বিগত সময়ে আমাদের ড্রেজিং মেশিন বেড়েছে। সামনে আরও বাড়বে। যেখানে বিগত সময়ে বিআইডব্লিউটিএ’র ১০টি ড্রেজিং মেশিন ছিলো সেখানে এখন ২৫টি। সামনে আরও ৬টির মতো সংযোজন হচ্ছে বহরে। ’

তিনি বলেন, ‘আমরা মূলত নদী খননের ক্ষেত্রে মেইনটেনেন্স বা রক্ষণাবেক্ষণ ড্রেজিং এবং ক্যাপিটাল বা বৃহত আকারের ড্রেজিং করে থাকি। ক্যাপিট্যাল ড্রেজিং মূলত মরে যাওয়া নদীতে নতুনভাবে খনন করে নাব্যতা ঠিক করা হয়ে থাকে। প্রথম শ্রেণীর অর্থাৎ ঢাকা-বরিশাল রুট কিংবা বড় লঞ্চ চলাচলের জন্য নদীপথে ১৪ ফুট গভীরতার প্রয়োজন রয়েছে। সেক্ষেত্রে আমরা সার্ভের মাধ্যমে এ রুটগুলোতে প্রতিনিয়ত মাপ-ঝোপ করছি। আর যেখানে গভীরতা কমে যাচ্ছে সেখানে মেইনটেনেন্স ড্রেজিং বা খনন কাজ করছি। ’ 

এ মুহূর্তে বরিশালে পাতারহাট লঞ্চঘাট সংলগ্ন নদী, লাহারহাট-ভেদুরিয়া, মিয়ারচরসহ বরিশালের বেশ কিছু জায়গায় ড্রেজিং কাজ চলমান উল্লেখ করে এ প্রকৌশলী বলেন, ‘পটুয়াখালী-ঢাকা রুটের লঞ্চ মাস্টারদের দাবির প্রেক্ষিতে বাকেরগঞ্জের কবাইতে আমরা ড্রেজিং কার্যক্রম শুরু করলেও তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ অনেকেই সে কাজে বাধা দিয়েছে। এমনকি আমাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাও করা হয়েছে। অথচ কবাইতে প্রতিনিয়িত লঞ্চ চরে আটকা পড়ছে এবং যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ’

তিনি আরও বলেন, ‘সপ্তাহখানেকের মধ্যে বরিশাল নদীবন্দর এলাকায় ড্রেজিং কাজ শুরু হবে। বিগত সময়ে সেখানে রাতের বেলা কাজ করতে বাধ্য করেছেন লঞ্চ মালিকরা। কিন্তু দিনের বেলা কাজ করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজন। তাই লঞ্চ মালিকদের অনুরোধ জানাচ্ছি তারা যেন ড্রেজিংয়ের কয়েকদিন লঞ্চগুলো দিনের বেলা সরিয়ে রাখে। এতে ভালো মানের ড্রেজিং হলে তাদের জন্যই উপকার বয়ে আনবে। ’

এছাড়াও কাজ করতে গিয়ে কিছু কিছু জায়গায় নানান সমস্যা দেখা দিচ্ছে। কিন্তু ভালোমানের কাজের জন্য সঠিক নিয়মে কাজ করার সুযোগ আমাদের করে দিতে হবে।

মিজানুর রহমান ভূঁইয়া অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রতিবছর ড্রেজিংয়ের সময় ডেজিং করা পলিমাটি পুনরায় নদীতে ফেলা হয়। যা নিয়ে বিভিন্ন সময় সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয় বিআইডব্লিউটিএকে। এই অবস্থায় এবার ড্রেজিং করা মাটি নদী থেকে অন্য কোথাও ফেলার জন্য স্থান চিহ্নিতকরণে সবার সহযোগিতা কামনা করছি। জায়গা দিলে আমরা সেখানে ফেলবো। এমনকি ড্রেজিং সংলগ্ন এলাকায় নিচু জমি ভরাটের প্রয়োজন হলে তাও বিনা পয়সায় আমরা ভরে দিতে পারবো। ’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বরিশাল নদীবন্দর কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বিআইডব্লিউটিএ বরিশালের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক আজমল হুদা মিঠু সরকার, বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী এ জেড এম শাহনেওয়াজ কবিরসহ বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৮
এমএস/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।