ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মিরপুরে স্বামী-স্ত্রীসহ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০১৮
মিরপুরে স্বামী-স্ত্রীসহ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার

ঢাকা: রাজধানীর মিরপুরের ভাষানটেকের এক বাসা থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  

মৃতেরা হলেন রিকশাচালক রাশেদ (২৬) ও তার স্ত্রী মালা  (২০)। রাশেদ ভোলা সদর উপজেলার সিদ্দিক মিয়ার সন্তান ও তার স্ত্রী মালা চাঁদপুর মতলব জয়পুর উপজেলার শাজাহান পাটোয়ারীর সন্তান।

বর্তমানে তারা ক্যান্টনমেন্টের মানিকদী এলাকায় থাকতেন

শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ভাষানটেক থানার  ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বির আহমেদ জানান, বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে সংবাদ পেয়ে ভাষানটেক দেওয়ান পাড়ার দ্বিতীয় তলা মসজিদের পাশে একটি বাড়ি থেকে রাশেদ ও তার স্ত্রী মালার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে ছয়দিন আগে দেওয়ানপাড়া এলাকার একটি ঘর ভাড়া নিয়ে তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ওঠেন। পরে আমরা সংবাদ পেয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করি। উভয়ের মৃত্যুর কারণ এখনও জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

এদিকে রাজধানীর পল্লবী থানাধীন মিরপুর-৬ এলাকার একটি বাসায় জান্নাতুল ফেরদৌসী বৈশাখী (২৫) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রাতে আত্মীয়-স্বজনদের খবরে বাসা থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পল্লবী থানা পুলিশ।

স্বামীর দাবি, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বৈশাখী। তবে নিহতের পরিবারের দাবি, আত্মহত্যা নয়, বৈশাখীকে হত্যার পর আত্মহত্যার নাটক সাজানো হচ্ছে। স্বামী প্রায় মারধর করতেন বৈশাখীকে।  

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৈশাখী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন। রসায়ন বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করেছেন অনেক আগেই। আর স্বামী মেহেদি হাসান রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে পড়াশোনা শেষ করে মাল্টিন্যাশনাল এক কোম্পানি করছেন।  
বৈশাখীর ভাই সৌরভ অভিযোগ করেন, এটা আত্মহত্যা নয়, বৈশাখীকে হত্যা করা হয়েছে। ওর শরীরে আমি মারধরের দাগ দেখেছি যা আগে দেখিনি। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার করা যেন হয়।  

এ ব্যাপারে পল্লবী থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, পুলিশ ফাঁস লাগানো অবস্থায় ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে। বৈশাখীর মৃত্যুর ব্যাপারে তার পরিবার মৌখিক অভিযোগ করলেও এখন পর্যন্ত আমরা কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৮
এজেডএস/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।